ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
টিভিতে ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। নবনির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা নূরুজ্জামান বিশ্বাস এমপির পক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঈশ^রদীর সকল সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে হাবিবকে অবাঞ্চিত ঘোষনার আহব্বান জানানো হয়েছে।
ঈশ্বরদীর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইছাহক আলী মালিথা এসময় বলেন, নির্বাচনে বিএনপি’র তৃণমূলের কোন নেতা-কর্মী মাঠে ছিলো না। হাবিব পোষ্টার লাগায়নি, মাইক বের করেনি এবং কারো কছে ভোটও চায়নি। কিন্তু সাংবাদিকদের ডেকে একের পর এক অভিযোগ করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। অথচ শনিবার অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট অনুষ্ঠানের পর রাতে চ্যানেল আইয়ের সরাসরি ‘টু দ্য পয়েন্ট’ অনুষ্ঠানে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের আলোচনার এক পর্যায়ে নবনির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাসকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তিপূর্ণ বক্তব্য ও শিষ্টাচার বহির্ভূতভাবে ‘থুতু নিক্ষেপ’ করে হাবিব ন্যাক্কারজনক আচরণ করেছেন। এই অবস্থায় আমরা হাবিবের প্রতি চরম ঘৃণা প্রকাশ করে করছি।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহব্বায়ক সাবেক ভিপি মুরাদ মালিথা বলেন, হাবিব আওয়ামী লীগের সাথেই শুধু বেইমানী করেনি, দুইবার বিরোধী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে বিএনপি’র সাথেও বেইমানী করেছে। নুরুজ্জামান বিশ্বাস এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয় এবং তিনবারের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বিশ্বাস সাহেব ত্যাগী, নির্যাতিত ও একজন সৎ নেতা হিসেবে এলাকায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি হিসেবে তিনি পরিচিত। মুরাদ জানান, হাবিবের ন্যাক্কারজনক এই আচরণে বিএনপি’র নয় তাঁর ব্যক্তিগত বলে বিএনপি’র স্থানীয় নেতারা বলেছেন।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাদ আহমেদ, সাংগাঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক পুনো, জেলা পরিষদের সদস্য শফিউল আলম বিশ্বাস প্রমূখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। #