বগুড়ায় শ্বশুরকে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে জামাইসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপহরণকৃত ব্যক্তির ছেলের করা অভিযোগের ভিত্তিতে বগুড়া সদর থানা পুলিশের অভিযানে মঙ্গলবার রাতে আসামীদের শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, অপরহণ হওয়া ব্যক্তির নিজের মেয়ে জামাই কাহালু উপজেলার দীঘিরপাড় এলাকার আবু সাঈদ (৩০), একই উপজেলার চকজগৎপুর এলাকার জিয়াউর রহমান (৩৮) এবং জাঙ্গালপাড়া এলাকার হৃদয় প্রাং (২২)।
এজাহারসূত্রে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ৩১শে আগস্ট রাতে সদরের ২য় বাইপাস এলাকার বায়তুল রহিম জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম গোফফার শাহ (৬৫) কে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অবস্থান নিয়ে মসজিদের পাশ থেকে তার নিজের মেয়ে জামাই আবু সাঈদ ও তার সঙ্গীয় সাথীরা অপহরণ করে। পরে তাকে পাশের উপজেলা শিবগঞ্জ নিয়ে যায় যেখানে একটি পরিত্যক্ত ঘরে তাকে বেঁধে রেখে গোফফারের পরিবারের কাছে ফোন মারফত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তার আরেক সাথী জিয়াউর রহমান।
অপহরণ হওয়া ব্যক্তিকে উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতার অভিযানের নেতৃত্বে থাকা এস.আই মনোয়ারুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, গোফফারের ছেলে বুজরুকবাড়িয়ার বাসিন্দা আলাল (২৮) তার বৃদ্ধ বাবাকে অপহরণ এবং মুক্তিপণের ফোন পাওয়ার বিষয়ে সদর থানায় অভিযোগ জানানোর সাথে সাথেই সেই ফোন কলের সূত্র ধরেই সদর ওসি হুমায়ুন কবিরের দিক-নির্দেশনায় প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহারা থেকে মুক্তিপণের জন্যে ফোন করা সেই জিয়াউর রহমান কে কৌশলে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতেই মঙ্গলবার রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার গনেশপুর গ্রামের হাফিজুর রহমোনের বাড়িতে গিয়ে অপহৃত গোফফারকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই বাড়ি থেকে জামাই আবু সাইদ ও হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশের সদস্যরা।
বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা জানান, এঘটনায় অজ্ঞাত আরো কিছু ব্যক্তি জড়িয়ে থাকতে পারে যা পুলিশ নিবিড়ভাবে খতিয়ে দেখছে এবং আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ৩ জন আসামীকে বুধবার দুপুরের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে মর্মেও নিশ্চিত করেন এই কর্মকর্তা।