লালমনিরহাট সদর উপজেলায় এলজিইডিতে টেন্ডারবাজদের সাথে প্রকৌশলীর ভাগবাটোয়ারা


লালমনিরহাট প্রতিনিধি।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা এলজিইডি’র ১৮টি গ্রুপে টেন্ডার সিডিউল ড্রপিংয়ে বাঁধা। প্রকৌশলীর মদদে টেন্ডার ভাগবাটোয়ারা করেছে টেন্ডারবাজরা। টেন্ডারে বেশি দামের ভবন ও গাছ কম মুল্য বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। টেন্ডার সিডিউল ড্রপিং বক্স একাধিক স্থানে না বসানোর কারনে টেন্ডার প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার ১১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ও  ৮টি বিদ্যালয়ের গাছ নিলামে বিক্রির জন্য টেন্ডার আহবান করে এলজিইডি সদর উপজেলা প্রকৌশলী। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের টেন্ডার নং-১। টেন্ডারটি আহবান করার পর ১৮টি গ্রুপে সিডিউল বিক্রি হয় ২শত ৩০টি। আজ ১ সেপ্টেম্বর ছিলো টেন্ডার ড্রপিং এর শেষ দিন। প্রকৌশলী ওবায়দুর রহমানের সাথে টেন্ডার সিন্ডিেেকটরা যোগসাজোস করে। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মতে কৌশলে টেন্ডার ড্রপিং বক্স শুধু মাত্র সদর উপজেলার তার কার্যালয়ে রাখা হয়। টেন্ডারবাজদের লোকজন অনেকে সকাল ৯টার পূর্বে উপজেলা এলজিডি অফিসে পাহারা বসায়। অনেকে সিডিউল নিয়ে আসলে টেন্ডারবাজদের লোকজন তাদের সিডিউল কেড়ে নেয়। অনেককে সিডিউল ফেলতে বাধা দেয়। টেন্ডার ভাগবাটোয়ারা, ১৮টি গ্রুপে ৩টি করে ৫৪টি সিডিউল ড্রপিং করে টেন্ডারবাজরা। এ নিয়ে কয়েক দফা উত্তেজনাও সৃষ্টি হয়। ২শত ৩০টি সিডিউল বিক্রি হলেও সিডিউল পড়ে ৫৪টি। বাকি ১শত ৭৬টি সিডিউল নিয়ে আসলেও কেউ সন্ত্রাসীদের কারণে টেন্ডার বাক্সে ফেলতে পারেননি। সদর এলজিইডি প্রকৌশলী ওবায়দুর রহমান বিরুদ্ধে টেন্ডার ড্রপিং বিষয়ে অনিয়ম করার অভিযোগ উঠেছে। বিধিমতে টেন্ডার বক্স জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার কার্যালয় ও এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে না দিয়ে তিনি নিজে টেন্ডারবাজদের নির্দেশনা মোতাবেক শুধুমাত্র নিজ দপ্তরে টেন্ডার বাক্স স্থাপন করেন। সিডিউল ফেলতে বাধা দেওয়া বিষয়টি নিয়ে শহর জুড়ে সর্বত্র চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
সদর উপজেলা প্রকৌশলী ওবায়দুর রহমান জানান, উপজেলা কমিটির মিটিং-এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, দুটি স্থানে টেন্ডার বাক্স স্থাপন করা হবে।  একটি তার কার্যালয়ে অপরটি একই ক্যাম্পাসের শিক্ষা দপ্তরে। এলজিইডির নির্বার্হী প্রকৌশলী আশরাফ আলী খান জানান, সিডিউল ফেলতে বাধাঁর বিষয়টি অনেকে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেছেন। লিখিতভাবে অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। টেন্ডার সিডিউল টেন্ডার বাক্সে প্রদান করতে ব্যর্থ অর্থাৎ বঞ্চিত ঠিকাদারেরা উক্ত টেন্ডার বাতিল পূর্বক পুনরায় টেন্ডার আহবান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানিয়েছেন।