নেত্রকোনার দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের কালিকাপুর কেরাতিয়া কওমি মাদ্রাসার জায়গা দখল করে জোরপূর্বক টিনশেড চালা ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী করিমের বিরুদ্ধে। গত (৩০ আগস্ট) রোববার সকাল ১১টার দিকে এ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে। এ ঘটনার পর থেকেই মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে কেউ কথা বললে নানা ধরণের হুমকী ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে করিমের পুত্র ফরিদ আলী(৩০)।
বুধবার সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের নামে কালিকাপুর কেরাতিয়া কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানটি প্রায় পয়তাল্লিশ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠা করা হয়। মাদ্রাসা স্থাপনের পূর্বে এ জায়গাটিতে কালিকাপুর জুনিয়র হাইস্কুল নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা ছিল। দীর্ঘ সময় পর এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বিলীনি হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ওই স্কুলের জায়গাটিতে কওমি মাদ্রাসা স্থাপন করে। কালিকাপুর মৌজার ৭৮২ দাগের ৫৬ শতাংশ ভুমির উপর এ প্রতিস্টানটি গড়ে উঠে। অল্প সংখ্যক জায়গার উপর ঘর নির্মাণ করে বাকী অংশটুকুতে লীজ মুলে বিভিন্ন ধরনের মনোহারি দোকান ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতিমাসে মাসিক ভাড়া আদায়ের লভ্যাংশ থেকে এ কওমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়ে আসছে। একই গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ মুন্সির পুত্র ভুমিদস্যু করিম ও তার পুত্র ফরিদ আলীর কু-নজরে পড়ে যায় দখলে থাকা মাদ্রাসার জায়গার উপর। ওই প্রতিষ্ঠানের কমিটি ও স্থানীয় সুধীজনদের না জানিয়ে জোরপূর্বক দুই শতক জায়গার উপর টিনশেডের চালা ঘর নির্মাণ করে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিবেশ বিরাজ করছে। এটির সমাধান কল্পে উপজেলা প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।
কওমি মাদ্রাসার জায়গায় জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ ছবিবুর রহমান প্রতিবেদককে জানান, চল্লিশ বছর ধরে এ জায়গাটি মাদ্রাসা ভোগ দখল করে আসছে। হঠাৎ করে স্থানীয় করিম তার পুত্রদের নিয়ে ঘর নির্মাণ করে ফেলে। এটা অমানবিক কাজ। আমি এ ঘটনার নিন্দা জানাই।
কালিকাপুর কেরাতিয়া কওমি মাদ্রাসার সভাপতি আবু ছালেক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন মুসলমান হিসেবে মাদ্রাসার জায়গা আত্মসাৎ,এটা আমাদের জন্য লজ্জার। আমি নিষেধ করেছি,কিন্তু গায়ের জোর টিনের ঘর নির্মাণ করেছে।
মাদ্রাসার জমি দখল করে ঘর নির্মাণের বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল করিমের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার দখলি জায়গার উপর ঘর নির্মাণ করছি। মাদ্রাসার জায়গা নিতে যাবো কেন বলেই ফোন কেটে দেন।