ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। স্বাস্থ্য বিষয়েও অনেক কথা বলা হয়েছে ইসলামে। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোগ নিরাময় সম্পর্কেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আকার-ইঙ্গিতেও অনেক উপায়ের কথা বলা হয়েছে; যা গবেষণাযোগ্য ও চিন্তা-ভাবনার বিষয়। এমনই কিছু হাদিসের বাণী এখানে উপস্থাপন করলাম।
নবিজি (স) বলেন, ‘জ্বর আসে জাহান্নামের তাপ থেকে! সুতরাং জ্বরকে পানি দ্বারা প্রশমিত কর!’ (সহিহ বুখারি, খণ্ড: ৭, অধ্যায় ৭১, হাদিস ৬২১)
নবিজি (স) বলেন, ‘যদি কারো পানিতে মাছি পড়ে যায়, তবে মাছিটিকে পানিতে চুবিয়ে তারপর পান কর! কারণ, মাছির এক ডানায় আছে রোগ, অন্য ডানায় আছে প্রতিকার! (সহিহ বুখারি)
নবিজি (স) বলেন, ‘কালো জিরা আস-সামস ব্যতীত সর্বরোগের ঔষধ! আয়েশা জিজ্ঞেস করেন, ‘আস-সামস কী’? নবিজি উত্তরে বলেন, ‘মৃত্যু’! (সহিহ বুখারি)
নবিজি (স) বলেন, ‘যারা রোপ্য পাত্রে পানি পান করে, তারা জাহান্নামের আগুন দ্বারা তাদের পেট পূর্ণ করে।’ (সহিহ বুখারি)
নবিজি (স) বলেন, ‘জাহান্নামের আগুন আল্লাহর কাছে অভিযোগ করল, হে আমার প্রতিপালক, আমার বিভিন্ন অংশ পরস্পরকে খেয়ে ফেলছে! সুতরাং তিনি জাহান্নামকে দুই বার শ্বাস নেওয়ার অনুমতি দিলেন, একটি শীতকালে (প্রশ্বাস), অন্যটি গ্রীষ্মকালে (নিঃশ্বাস)! এবং এটাই (গ্রীষ্মকালে) প্রখর গরম ও (শীতকালে) তীব্র শীতের কারণ!’ (সহিহ বুখারি)
নবিজি (স) বলেন, ‘আল্লাহ হাঁচি পছন্দ করেন এবং হাই তোলা অপছন্দ করেন!’ (সহিহ বুখারি)
নবিজি (স) বলেন, ‘ভালো স্বপ্ন আসে আল্লাহ থেকে আর দুঃস্বপ্ন আসে শয়তান থেকে! কেউ যদি দুঃস্বপ্ন দেখে তার উচিত আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া ও বাম দিকে থুথু নিক্ষেপ করা। কারণ এতে দুঃস্বপ্ন তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।’ (সহিহ বুখারি)
নবিজি (স) বলেন, ‘তোমরা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় নামাজ আদায় কোরো না। কারণ, সূর্য শয়তানের মাথায় দুই প্রান্তের মধ্যখান দিয়ে উদিত হয়।’ (সহিহ বুখারি)
নবিজি (স) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খায়, তার ওপর বিষ ও জাদু কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না!’ (সহিহ বুখারি)
এক লোক নবিজির কাছে এসে বলল, সে সকাল পর্যন্ত ঘুমিয়েছে এবং নামাজ আদায় করতে পারেনি! নবিজি (স) বলেন, শয়তান তার কানে প্রস্রাব করে দিয়ে চলে গিয়েছে। (সহিহ বুখারি)
লেখক :আওলাদ হাদীয়ে বাঙ্গাল হযরত মাওলানা কারামত আলী সিদ্দিকী জৌনপুরী (রহ)