বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি বিরাজ করছে সেটার পরিবর্তন আনতে হবে। নারীর প্রতি সম্মান ও মর্যাদার যে সাংস্কৃতিক ব্যাপার আছে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের যে সমীকরণ আছে সেটা বদলাতে হবে, যারা দায়িত্বে আছেন তাদেরকে বিচারহীনতার সঙ্গে আপোষকামীতা বন্ধ করতে হবে।
২৪ আগষ্ট সোমবার দিনাজপুর প্রেসক্লাব সম্মুখ সড়কে ‘ইয়াসমীন ট্রাজেডি দিবস’ উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী সকল ধর্ষণ, হত্যা ও নির্যাতনকারীদের প্রতিহত এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচীতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখা আয়োজিত মানবন্ধন কর্মসূচীতে বক্তারা এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি কানিজ রহমান-এর সভাপতিত্বে মানবন্ধন কর্মসূচীতে বক্তারা আরও বলেন, পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে দেশে নারী নির্যাতনের বিচারের হার মাত্র ৩ শতাংশ। ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে এ রকম ঘটনায় বিচারের হার মাত্র ৩ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান থেকেই বুঝা যায় নারী নির্যাতনের বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা কতখানি! হয় তাদের সক্ষমতা নেই, না হয় তারা আন্তরিক নয়। এসব ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। তারা যেন আন্তরিক হয়, সেই চেষ্টাও করতে হবে। নারী নির্যাতনসহ সকল নির্যাতনের ঘটনায় সুরাহা হতে পারে যখন যারা ওই ঘটনার সুরাহা দেয়ার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হতে হবে। তাই এগুলো যাদের দায়িত্ব তাদেরকেই আন্তরিকভাবে সকল ধরনের অপরাধের বিচার করতে হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদিকা রুবিনা আক্তার এর সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচীতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. মারুফা বেগম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কলেজিয়েট গার্লস্ স্কুল এন্ড কলেজ-এর অধ্যক্ষ হাবিবুল ইসলাম বাবুল, নাগরিক উদ্যোগ এর সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, নাট্য সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউর রহমান রেজু, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাদল, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, ভৈরবীর পরিচালক রহমত উল্লাহ, প্রগতি লেখক সংঘের সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব শীল, কাব্য কুঞ্জ’র সাধারণ সম্পাদক শেখ সগির আহমেদ, মহিলা পরিষদের সহ-সভাপতি মাহবুবা খাতুন, মিনতি ঘোষ, প্রশিক্ষণ গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রুবি আফরোজ, অর্থ সম্পাদক রতœা মিত্র, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা পলি, আন্দোলন সম্পাদিকা গৌরী চক্রবর্তী, সদস্য অনামিকা পান্ডে, নুরুন্নাহার, রোকসানা বিলকিস, সুকলা কুন্ডু, নাজমা বেগম, রেহেনা বেগম প্রমুখ।