বগুড়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে ২০টি মামলায় প্রায় ৬১ হাজার টাকা জরিমানা

বগুড়ায় পৃথক ২০টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাস্ক না পরা, সড়ক পরিবহন আইন অমান্য ও পণ্যে মোড়ক হিসেবে প্লাস্টিক ব্যবহার করা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করায় প্রায় ৬০ হাজার ৯’শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে এই ভ্র্যাম্যমাণ আদালতগুলো পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান, মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, মারুফ আফজাল রাজন , ফেরদৌস আরা , রোমানা রিয়াজ , মো. তাসনিমুজ্জামান ও মো. নাছিম রেজা। শহরের ঠনঠনিয়া, কলোনি, ফতেহ আলী বাজার, সাতমাথা, ঘোড়ারমোড়, বনানী, জলেশ্বরীতলা, সাবগ্রাম, সেউজগাড়ি এলাকায় ভ্র্যাম্যমাণ আদালত চালানো হয়। এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, মাস্ক না পড়ে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় ২০ জনকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। লাইসেন্স ও হেলমেট না থাকায় সড়ক পরিবহন আইনে আরো ৫ জন মোটরসাইকেল আরোহীকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করে প্লাস্টিকের মোড়ক ব্যবহার করায় শেরপুরের আলাল এগ্রো ফুড প্রোডাক্টসের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ও মা-বাবার দোয়া অটো রাইস মিলের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে মেয়াদোত্তীর্ন ওষুধ বিক্রি করায় শহরের তিনমাথা রেলগেটের নিঝুম ফার্মেসি থেকে ২০ হাজার টাকা ও কলোনী এলাকার মুন্নু ফার্মেসি থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও একই দিন বিকেলে সড়ক পরিবহন আইন,২০১৮ এর ২৮,৬৬,৭৯ ধারায় ৭টি মামলায় আরো ১১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে পৃথক আরেকটি ভ্রাম্যমান আদালতে। এদিকে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এবং জেলার সার্বিক পরিস্থিতি সুষ্ঠু রাখতে প্রতিদিন পরিচালিত এই ভ্রাম্যমান আদালত চলমান থাকবে বলেও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। সেই সাথে সাধারণ মানুষকে দেশ ও দশের স্বার্থেই সচেতন হওয়ার জন্যে বগুড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়েছে।