নাটোর প্রতিনিধি
করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাতদিন কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে ছুটছেন একজন নারী মেয়র। সঙ্কটময় সময়ে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের আনাচে কানাচে রাতদিন জনগণের পাশে থেকে খাদ্য ও সচেতনতা তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন। জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটিয়ে দিচ্ছেন বাজারগুলোতে। ক্লান্তিহীন এ মানুষটি নাটোর পৌরসভা মেয়র উমা চৌধুরী জলি। তার এসব কাজে জনগণ থেকে আখ্যা পাচ্ছেন মানবিক মেয়র হিসেবে।সরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিপুল সংখ্যাক দিনমজুর, বস্তির দুস্থ, পত্রিকার হকারসহ কর্মহীন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রীর মানবিক সহায়তা প্রদান করছেন। যা এখনো অব্যাহত আছে ।সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, আলু, লবণ, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। রাতের আঁধারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে মেয়র কখনো নিজে, কখনো স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন।
এছাড়া নাটোরে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে যখন শহরে বেওয়ারিশ লাশ দাফন কাফন বা সৎকারের জন্য যখন কেউ এগিয়ে আসেনি ।কেউ দায়িত্ব নেয়নি ।ঠিক তখন তিনি বেশ কয়েকটি বেওয়ারিশ লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেছেন ।
পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি বলেন, আমিই হব বেওয়ারিশ লাশের অভিভাবক। আমি বেওয়ারিশ লাশের সৎকার করব। দরিদ্র বা ভাসমান কোনো মানুষ মারা গেলে একজন মানুষ হিসেবে তাকে দাফন কাফন করা হচ্ছে সামাজিক দায়বদ্ধতা। যে ব্যক্তিটি মারা গেছে সেও তো মানুষ। কোনো বাবা মায়ের সন্তান। তাই কোনো বেওয়ারিশ লাশ মারা গেলে আমাকে জানাবেন।
গণমাধ্যমকর্মী মামুন খান,দেশের অন্য জনপ্রতিনিধিদের তুলনায় অনেক বেশি কর্মতৎপর মেয়র ।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে তিনি মানবিক সহযোগিতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তারেক জুবায়ের বলেন, মেয়র জলির মানবিক সহায়তা কার্যক্রম প্রশংসার যোগ্য।
নাটোর পৌরসভার কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন বলেন,সে একজন মানবিক নেতা, যিনি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে ঘরে ঘরে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দিয়েছেন।