বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ॥ বীরগঞ্জে চাপের মুখে ইউএনও মোঃ ইয়ামিন হোসেন (দুর্নীতির অংশ) ৪টি প্রকল্পের বিপরিতে সরকারী ৮ লাখ টাকা ব্যায়ে ২টি প্রকল্প মরিচা ও নিজপাড়া ইউনিয়নে বাস্তবায়ন করা হলেও, শিবরামপুর ও সুজালপুর ইউনিয়নের ২’টি প্রকল্পের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের কেনার দাবি কর্মকর্তাার পকেটে রয়েছে প্রকল্পের টাকা ।
উপজেলার মরিচা ইউপিি সদস্য ও পিআইসি মাতৃ প্রসব সেবা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র মোঃ আব্দুল বাসেদ সোনা মিয়া’র অভিযোগ ও তথ্য মতে চতুর্থ পরিষদ গত ২৪ এপ্রিল/২০১৯ তারিখের ৬১তম সভার বিবরণ মতে জানা যায়, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ও রাজস্ব তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ দ্বারা প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে ৪৪ লাখ টাকায় ২৩ টি প্রকল্প গ্রহন, অনুমোদন দিয়ে বাস্তবায়নের জন্য অর্থ ছাড় করা হয়।
২৩ টি প্রকল্পের মধ্যে ৪টি প্রকল্প ক্রমিক নম্বর ৭, ৮, ৯ ও ১০ প্রতিটি ২ লাখ হিসেবে ৮ লাখ টাকায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র সমুহে নরমাল ডেলিভারিতে ব্যবহার, উপকরন যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ৭ সদস্যের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি বানানো হয়েছে কাগজে কলমে।
চারটি ইউনিয়ন ক্রমিক নং-৭/-নিজপাড়া, ক্রমিক নং-৮/-মরিচা, ক্রমিক নং-৯/- শিবরামপুর, ও ক্রমিক নং- ১০/-সুজালপুর ইউনিয়ন উল্লেখ্য করা হয়েছে। উল্লেখিত প্রকল্প সভাপতি গনের স্বাক্ষর নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ামিন হোসেন একক ভাবে টাকা উত্তলোন মাষ্টার রোল দাখিল গত অর্থ বছরেই স¤পাদন করেছেন। কিন্তু কোন মলামাল সরবরাহ করেন নাই। দীর্ঘ ১ বছরের অধিক সময় পেরিয়ে গেলেও সরকারী ৪ প্রকল্পের ৮ লাখ টাকা তিনি উত্তোলন করে রেখেছেন।
ফলে মরিচা ইউনিয়নের পিআইসি ৩ বার নির্বাচিত সোনা মিয়া হতাশ হয়ে অনেকবার নির্বাহী অফিসারকে এ ব্যপারে চাপ দিতে থাকেন। মালামাল না দিলে তিনি উপর মহলে অভিযোগ করার কথা বললে একটু নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হন আত্মাতের চেষ্টাকারী।
অবশেষে ২০১৮-২০১৯ইং অর্থ বসরের মালামাল গুলো গত শনিবার ১১ জুলাই/২০২০ইং ১বছর পর আনুষ্ঠানিক ভাবে দিনাজপুর-১ এর মাননীয় এমপি’র মাধ্যমে মরিচা ও নিজপাড়া ইউনিয়নে প্রদান করলেও অপর ২টি ইউনিয়ন সুজালপুর পিআইসি ভবেশ চন্দ্র রায় ও শিবরামপুর পিআইসি শহীদ মেম্বার জানিয়েছেন তাদের প্রতিষ্ঠানে কোন মালামাল দেয়া হয়নি। আজ দিব কাল দিব বলে কাল ক্ষেপন করছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন ইউপি সমিতির সভাপতি ও মরিচা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আতাহারুল ইসলাম চৌধুরী হেলাল। বলেছেন,
সরকারী কর্মসূচির অজুহাতে ইউএনও সাহেব তার অপকর্ম জায়েজ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। যেহেতু মাতৃত্ব তথা প্রসব কালিন সময় ব্যবহারী উপকরন যন্ত্রপাতি সমুহ ২০১৮-১৯ইং অর্থ বসরের ৪টি প্রকল্প/৮,০০,০০০/- টাকা বরাদ্দ। সেগুলো আত্মাতের চেষ্টায় ছিল কিন্তু প্রকল্প সভাপতি অত্র ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সোনা মিয়ার ঐকান্তিক চেষ্টা ও চাপের মুখে ২০২০ইং সালের জুলাই মাসের ১১ তারিখে দিতে বাধ্য হয়েছ।
ইউএনও ইয়ামিন হোসেন ভেবেছে এমপি মহোদয়কে বোকা বানিয়ে তার হাত দিয়ে উদ্বোধন করলে সব ঢাকা পড়বে। এত সহজ নয় সবাইকে বোকা ভাবা ঠিক নয়। প্রকল্প সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান, এহেন দূর্নীতি’র বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে দুদক সহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধমহলে লিখিত অভিযোগ করে তদন্ত দাবি করেছেন। অভিযুক্ত ইউএনও ইয়ামিন হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল রিসিপ করেনি।