করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দৌড়ে এগিয়ে ৩ প্রতিষ্ঠান

করোনা ভাইরাসের আক্রামণে নাকাল বিশ্ব। সারা বিশ্বে দেড় কোটির বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখের বেশি মানুষের। বিশ্ববাসী এখন নির্বাক তাকিয়ে আছে প্রাণঘাতী করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিনের দিকে।

জাতিসংঘের দেওয়া তথ্যমতে, সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিস্কারে এগিয়ে আছে তিনটি প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে একটি হল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। আর অপর দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সিনোভেক এবং ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন বা মারডকচিলড্রেনস রিসার্চ ইন্সটিটিউট।

গত ২০ জুলাই করোনার ভ্যাকসিন আবিস্কারের দৌড়ে এগিয়ে থাকা এ তিন প্রতিষ্ঠানের নামা জানায় বলে খবর বিবিসির। খবরে বলা হয়, ওই তিনটি প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টায় তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়: অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিনটি শিম্পাঞ্জির শরীরের সাধারণ সর্দিকাশি তৈরি করে এমন একটি ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তন করতে সক্ষম। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠায় ওই ভ্যাকসিনটি শরীরের ভেতর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করতে পারে। ভাইরাসটি মানব শরীরে গিয়ে বুঝতে পারে যে, কীভাবে করোনা ভাইরাসকে পরাস্ত করা য়ায়। সম্প্রতি গবেষকরা ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকায় তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু করেছে। ভারতেও টিকাটির ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।

সিনোভেক: কোভিড-১৯ এর নিষ্ক্রিয় অংশের ওপর ভিত্তি করে একটি টিকা আবিষ্কারের কাজ করছে চীনের কোম্পানি সিনোভেক। প্রথম দফার পরীক্ষাগুলোয় এই টিকাটি বেশ সাফল্য দেখিয়েছে। এখন ব্রাজিল ও বাংলাদেশে কয়েক হাজার মানুষের ওপর টিকাটির তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে।

ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন/মারডকচিলড্রেনস রিসার্চ ইন্সটিটিউট: প্রায় ১০০ বছরের পুরনো একটি ফুসফুসের টিকা নিয়ে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চালাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার মারডক চিলড্রেনস রিসার্চ ইন্সটিটিউট। এই টিকা যদিও সরাসরি কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা করে না কিন্তু এটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে।