নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় নলডাঙ্গা হাট বসে প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার। পাট মৌসুম এলেই পাট বেচা কেনার জন্য হাট বসে বারনই নদীর উপরের ব্রীজে।শতশত মন পাট ক্রয় বিক্রয় এবং ট্রাকে উত্তোলন করা হয়। এর ফলে সৃষ্টি হচ্ছে ব্যাপক জনদূভোর্গ। অন্যান্য বারের মত এবারও শূরু হয়েছে পাট হাট ব্রীজের উপর।
মানুষের চলাচল ব্যাহত করে এ হাট বছরের পর বছর ধরে কতটুকু যৌক্তিক। এবারে করনার কারণে এমনিতেই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে।
স্বাস্থ্যবিধি মানতে চাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় পাট হাট যেন বিষ ফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে জনমনে নানা রকম প্রশ্ন থাকলেও মিলছেনা সমাধান।
এবিষয়ে প্রথম থেকেই সোচ্চার ছিলেন নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ। আজ শনিবার সকালেও আসাদ নলডাঙ্গা ব্রীজে যান এবং পাটরে হাট অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য বলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আসাদ এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানান এই পাট হাটের জন্য সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের ছাত্র ছাত্রী এমনকি রোগীরাও যেতে পারেনা।
ব্রীজ পার হতে সময় লাগে আধা ঘন্টা সময়। আসাদের ফেসবুক স্ট্যাটাসে অসংখ্য মানুষ সহমত পোষণ করেন হাট সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে।
এদিকে নলডাঙ্গা হাটের পাট হাট সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে হাট কো¤পানীর দায়িত্বে থাকা আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, হাটের মালিক আসলে বাংলাদেশ সরকার।
জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দেখভালের জন্য নলডাঙ্গা ইউএনও অফিস ও নলডাঙ্গা পৌরসভা। তারা আমাকে যেখানে হাট বসাতে বলবে আমি সেখানেই হাট বসাব। তবে প্রাচীন এই হাটে প্রায় দশবছর ধরে ব্রীজের উপর হাট বসছে।