নলডাঙ্গায় বন্যায় আশ্রায়হীন গর্ভবতী নারীর পাশে ইউএনও

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের নলডাঙ্গায় বন্যায় আশ্রায়হীন এক গর্ভবতী নারীর পাশে সহয়তার হাত বাড়িয়ে পাশে দাড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন।রোববার উপজেলার বাঁশিলার দক্ষিনপাড়া গ্রামের বন্যায় আশ্রায়হীন হতদরিদ্র শরিফুল ইসলামের গর্ভবতী মেয়ে সুরাইয়া আক্তারের পাশে খাদ্যসামগ্রী ও ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে হাজির হন এ ইউএনও।অসহায় পরিবারটি ইউএনও কে পাশে পেয়ে খুশিতে আপ্লত হয়ে এ মানবিক ইউএনওর জন্য দোয়া চাইলেন।
জানা যায়,উপজেলার বাশিঁলা দক্ষিনপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র শরিফুল ইসলামের বাড়িঘরে এবারের বন্যার পানি উঠে বসবাসের অনুযোগি হয়।পরে নিরুপায় হয়ে শরিফুল তার স্ত্রী ও তার তিন মেয়ে কে আশ্রায় নেন বারনই নদীর ওপারে শ্যামনগর গ্রামের আরেক দরিদ্র সাইকেল মিস্ত্রি বিনছের আলীর বাড়িতে।অসহায় দরিদ্র শরিফুল ইসলামের বড় মেয়ে সুরাইয়া আক্তার ৯ মাসের গর্ভবতী ছিল।বিষয়টি গনমাধ্যম কর্মীদের কাছ থেকে জানতে পেরে ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে অন্যের বাড়িতে আশ্রায় নেওয়া গর্ভবতী সুরাইয়ার পাশে পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রী ও একজন ডাক্তার তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়ে হাজির হন এবং সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।গর্ভবতী সুরাইয়ার মা জুনুপা জানান,গত বৃস্পতিবার আমার বাড়িঘরে বন্যার পানি ঢুকে বসবাসের অনুযোগি হয়।নিরুপায় হয়ে স্বামী তিন মেয়েকে নিয়ে পাশের বারনই নদীর ওপারে সাইকেল মিস্ত্রি বিনছের আলীর বাড়িতে আশ্রায় নিই।যদিও তিনি আমাদের নিকট আত্মীয় নয়।সাইকেল মিস্ত্রি বিনছের আলী জানান,তারা আমার নিকট আত্মীয় না হলেও আমি তাদের এ বিপদ দেখে আশ্রায় দিয়েছি।নাটোর সদর উপজেলা মা শিশু স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনার মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইয়াদুল ইসলাম জানান,গর্ভবতী সুরাইয়া আক্তারের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা হয়ে হয়েছে।আমাদের মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মীরা নিয়মিত খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আপনাদের মাধ্যমে আমি প্রথম বন্যায় আক্রান্তদের খবর পায়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি বন্যায় ঘর বাড়ি ডুবে যাওয়া একটি পরিবারে একজন গর্ভবতী মা আছেন। যারা অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এ খবর পেয়ে আমি ছুটে এসেছি। আমার কাছে সরকারী দায়িত্বের চেয়ে মানবিকতার বিষয়টি সব থেকে বড় মনে হয়েছে। এখানে এসে সেটিই দেখলাম যারা আশ্রয় দিয়েছেন তাদেরও আর্থিক অবস্থা খুব ভালো নয়। ডাক্তার সাহেব কে অনুরোধ করেছি আসার জন্য।সবকিছু শুনে তিনিও ছুটে এসেছেন।পরবর্তীতে আরো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে সেটা আন্তরিকতার সাথে করবো।