চা জনগোষ্ঠীর মধ্যে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচারণা কার্যক্রম জেলার চাতলাপুর ও শমসেরনগর চা বাগানগুলোতে শুরু করা হয়েছে। চাতলাপুর চা বাগানে প্রচারণা উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সিভিল সার্জন ডা. তউহীদ আহমদ, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)’র ফিল্ড অফিসার ডা. নূর-ই আলম সিদ্দিকী, বাগান ব্যবস্থাপক মোঃ কামরুজ্জামান, বাগান হাসপাতালের ডা. জাকারিয়া আহমদ, স্বাস্থ্য সহকারী প্রদীপ কুমার রায় এবং বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি সাধন বাউরী। জাতীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা সংস্থা সিআইপিআরবি’র প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর মোঃ আলতাফুর রহমান এর পরিচালনায় আয়োজিত প্রচারণা অনুষ্ঠানে বক্তব্য সিভিল সার্জন বলেন- বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। তাই, এ বিষয়ে জনসাধারনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে, চা বাগান অধ্যুষিত মৌলভীবাজারের চা জনগোষ্ঠীরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন। আর চা জনগোষ্ঠীকে কোভিড-১৯ বিষয়ে সচেতন করতে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে এবং সিআইপিআরবি’র সহযোগিতায় প্রচারণা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে এবং সরকারের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। অনুষ্ঠান শেষে সিভিল সার্জন সিআইপিআরবি’র ভলান্টিয়ার কর্তৃক পরিচালিত গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে উঠান বৈঠক পরিদর্শন করেন। তারপর ক্যামেলিয়া ডানকান ফাইন্ডেশন হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সিআইপিআরবি এবং ইউএনএফপিএ’র সহযোগিতায় জরুরী ঔষধপত্র ও সুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর করেন। প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর মোঃ আলতাফুর রহমান বলেন- জাতিসংঘের চারটি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এবং জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশন (ইউএন উইমেন) এর সহযোগিতায় বাস্তবায়নাধীন ‘‘এনহেনসিং সোস্যাল প্রটেকশন ফর ফিমেল টি গার্ডেন ওয়ার্কারস এন্ড দেয়ার ফেমিলিজ ইন সিলেট ডিভিশন’’ প্রকল্পের আওতায় কোভিড-১৯ মোকাবেলায় জেলার নির্ধারিত চা বাগানগুলোতে বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। কার্যক্রমগুলোর মধ্যে মাইকিং প্রচারণা, ডিসপ্লে-বিল বোর্ড স্থাপন, স্থানীয় টিভি চ্যানেলে কোভিড বিষয়ক প্রচারণা, প্রচারণা-পত্র বিতরণ উল্লেখযোগ্য। তিনি আরো জানান- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যকরী সমন্বয় ও সহযোগিতাসহ সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই দুর্যোগকে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।