পাবনার চাটমোহরে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল ৭ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী। ২৬ জুন শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ছাইকোলা ইসলামপুরে খাদিজা খাতুন (১২) নামে স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছে প্রশাসন।
উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মুকুল প্রাং এর মেয়ে ধানকুনিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হচ্ছে মর্মে খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ইকতেখারুল ইসলাম অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বর, বরের পিতা ও কনের বাবাকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।
জানা যায়, শুক্রবার নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার থানাইখড়া গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে শফিকুজ্জামানের সাথে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী খাদিজা খাতুনের বিয়ের দিন ঠিক হয়।
সন্ধ্যার পর চলছিল বিয়ের আয়োজন। অতিথিদের আপ্যায়নের পর্ব শুরু হওয়ার পর গোপন সংবাদ পেয়ে ওই বিয়ে বাড়িতে পুলিশ নিয়ে হাজির হন এসিল্যান্ড ইকতেখারুল ইসলাম। এ সময় বর, বরের বাবা ও কনের বাবাকে আটক করা গেলেও পালিয়ে যায় বরযাত্রীরা।
পরে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বর শফিকুজ্জামানকে ২০ হাজার টাকা, বরের বাবা মতিউর রহমানকে ২০ হাজার টাকা অনাদায়ে দু’জনকেই ৩ মাসের কারাদন্ড এবং কনের বাবা মুকুল প্রাংকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসাথে প্রাপ্তবয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবে না মর্মে কনের পরিবারের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়। পরে জরিমানার টাকা দিয়ে মুক্ত হন বর, বরের পিতা ও কনের বাবা।