উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং অবিরাম বর্ষনে তিস্তা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে । সেই সাথে পাল্লা দিয়ে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বসতবাড়িসহ ডুবে গেছে এবং নানাবিধ ফসলের ক্ষেত। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদীর বিভিন্ন চরে কমপক্ষে ৮ হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। গত রোববার বিকাল হতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করছে। বেলকা চরের কৃষক লাল মিয়া জানান, তার ঘরের ভিতরে হাটু পানি উঠছে। এছাড়া তোষাপাট এবং বাদাম ক্ষেত ডুবে গেছে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, তাঁর ইউনিয়নের কমপক্ষে ১ হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগাম বন্যার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান এ পর্যন্ত ৮ একর জমির তোষাপাট ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মোতাবেক উপজেলার কয়েকটি পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।