চঞ্চল্যকর হাবিব হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসি

পাবনার চাটমোহর হান্ডিয়াল বাজারের পার্শ্ব রাস্তায় হাবিব হত্যারকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। বুধবার সকালে হাবিবের নিজ বাড়ির সামনে ব্যানার,ফেস্টুন ও বিভিন্ন পোষ্টার দ্বারা এ মানববন্ধন
অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়,গত ১৪ জুন রোজ রবিবার সন্ধ্যা ৭.৪০ ঘটিকার সময় এলাকার প্রভাবশালী পরিবারের বখে যাওয়া কিছু কুখ্যাত সন্ত্রাসীরা
পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলো পাথারী আঘাত করতে থাকলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে। মানববন্ধনে এলাকাবাসীরা
জানান,হত্যাকারীরা দীর্ঘদিন যাবত স্কুলগামী ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা, নেশা জাতীয় দ্রবাদি সেবন ও বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক এবং অপরাধমুলক
কর্মকান্ডে জড়িত আছে বলেই এই হত্যাকান্ড তাদের জন্য সহজ হয়েছে।
নিহত হাবিবুর রহমান হাবিবের চাচা রুহুল আমিন সুশীল সমাজের কাছে বলেন,আমার পরিবার স্বাধীনতার পূর্ব থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ ও ত্যাগী পরিবার । আমরা দলের জন্য কাজ করেছি কোন দিন কোন পদ পদবীর লোভে কোন প্রকার দলের বিরুদ্ধে লিপ্ত হই নাই। আপনারা জানেন আমার বাবা মৃত হাতেম আলী প্রামানিক বাংলাদেশের ক্রান্তিলগ্নে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারীদের বিভিন্নভাবে
সহযোগীতা করেছেন।কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের সাথে বলতে চাই আজ বঙ্গবন্ধরি কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বে ঠিক সেই মুহুর্তে কিছু সন্ত্রাসীর হাতে আমার ভাতিজা খুন হলো। তিনি আরো বলেন,হাবিবুর রহমান হাবিব একজন মেধবী,সৎ
,সচ্চরিত্রবান,উদারমনের অধিকারী এবং আওয়ামীলীগকে ভালবাসতো বলেই
আজকে আমার ভাতিজার মুত্যু হয়েছে। নিহত হাবিবের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমার ছেলে নিহত হওয়ার পর চাটমোহর থানায় হত্যাকারীদের
বিরুদ্ধে মামলা করি। মামলা নং-১১-তারিখ: ১৫-০৬-২০২০ ইং। মামলা করার পরে
আজ ২দিন হয়ে গেলেও কেন আসামী আইনের আওতায় আসছেনা এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমাদের দাবি হাবিবের মায়ের মতো যেন আর কোন মায়ের কোল খালি না হয়। তাই হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি
করছি। এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন হান্ডিয়াল ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পদক শাহ আলম, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক রাশেল
আহম্মেদ,হান্ডিয়াল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল রহমান হিরক, হান্ডিয়াল ৫নং ওয়ার্ড আওয়োমীলীগের সভাপতি আফতাপ হোসেন, মো: গাজী আঃ খালেক মাষ্টার, গাজী শ্রী দিলিপ ব্রোম্মচারি সহ এলাকাবাসী।