বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী, জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর সুযোগ্য পুত্র, সিরাজগঞ্জের কৃতি সন্তান মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম ফর সোস্যাল ডেভলপমেন্ট-আইসিএসডি, অস্ট্রেলিয়া’র ডিজিটাল মিডিয়া এডভাইজার ড. মিঠুন মোস্তাফিজ। এক বিবৃতে তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। আইসিএসডি উপদেষ্টা ড. মিঠুন মোস্তাফিজ বলেন, মোহাম্মাদ নাসিম ছিলেন বর্ণাঢ্য এক রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। ১৯৮৬ সালে সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর এই আসন থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০১৪ ও সর্বশেষ ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিম। ১৯৯৬ সালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী পরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব দেয়া হয় তাঁকে। ১৯৯৯ সালে পান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। এরপর ২০১৪ সালে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, আন্দোলন সংগ্রামে মানুষের অধিকার নিয়ে সোচ্চার ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। এজন্য বিভিন্ন সময় নির্যাতিতও হয়েছেন তিনি। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার আড়াই মাসের মাথায় জাতীয় চার নেতাকে নৃসংশভাবে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় মোহাম্মদ নাসিমকে। করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মোহাম্মাদ নাসিম গেল ১ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন। নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনা শনাক্ত হয়। পরে তাঁকে আইসিই-তে রাখা হয়। এ অবস্থায় গেল ৫ জুন স্ট্রোক করলে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর। এরপর কোমায় চলে গেলে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় মোহাম্মাদ নাসিমকে। ১২ জুন অবস্থার অবনতি হলে আজ বেলা ১১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক। ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম ফর সোস্যাল ডেভলপমেন্ট-আইসিএসডি, অস্ট্রেলিয়া’র উপদেষ্টা ড. মিঠুন মোস্তাফিজ বলেন, মোহাম্মাদ নাসিমের মৃত্যুতে সিরাজগঞ্জবাসী একজন সত্যিকারের অভিভাবককে হারালো। দেশ হারালো একজন দেশপ্রেমিক, প্রজ্ঞাবান রাজনীতিককে।