দুর্গাপুরে প্রায় ৫ একর ভূমির রবিশস্য নিয়ে বিপাকে কৃষক বৃদ্ধ জামাল হোসেন

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শংকরপুর মৌজার এক কৃষক পরিবারের চার একর বাহাত্তর শতাংশ ভুমির রবিশস্য ফসল ঘরে তুলতে না পেরে বিপাকে পড়েছে ভুক্তভোগী জামাল হোসেন(৮৫)। আদালতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে
প্রতিপক্ষের বানোয়াট অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরওআর মূলে ক্রয়কৃত সম্পত্তি
উপরে একতরফা রিসিভার হওয়ায় একুশ বছরের এর প্রতিকার পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ
উঠেছে। আজ বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাবে এক লিখিত অভিযোগে এ অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরেণ ভুক্তভোগী বৃদ্ধ জামাল হোসেন।
অভিযোগের বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার ওই ইউনিয়নের দক্ষিন শংকরপুর মৌজার জে,এল নং-৭০,আরওআর নং-২৩,৪৩৩৯ নং দাগের খাত ২ একর ৪৭ শতক ও ৪৩৪০ দাগে ২ একর ১৪ শতক ভুমি ক্রয় করে চাষাবাদ করে আসছিল। ওই সম্পত্তি একই ইউনিয়নের আরওআর মালিক তালে হোসেন এর মৃত্যুর পর তার ওয়ারীশানদের নিকট
হতে বিভিন্ন সময়ে খরিদা সূত্রে মালিক হন মৃত. রিয়া হোসেন এর পুত্র জামাল হোসেন। ক্রয়কৃত সম্পত্তি ১৫ বছর ধরে ভোগদখলের পর ওই সম্পত্তির বিরুদ্ধে
দুর্গাপুর থানায় রিসিভার চেয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করে পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া গ্রামের মৃত. সন্তোষ চন্দ্র ঘোষ এর পুত্র শিবু চন্দ্র ঘোষ। অপর দিকে জামাল হোসেন সম্পত্তির আশু প্রতিকার চেয়ে আদালতের সম্মুখিন হলে সমস্থ
কাগজ-পত্রাদী পর্যালোচনা করে ওই সম্পত্তিতে বিবাদীদের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি করে আদালত। পিং নম্বর ৩০/ ৯৬,৩/২/১৯৯৬ইং।
পরবর্তীতে ওই ভুমির মালিক জামাল হোসেন বিবাদী সন্তোষ ঘোষ গংদের বিরুদ্ধে নেত্রকোনা ২য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি সত্ত্বের মোকাদ্দমা আনয়ন করে।
মামলা নং-০৮,২০০৩। অভিযোগটি আমলে নিয়ে সামগ্রিক দালিলিক পত্র যাচাই
পূর্বক ও সমস্ত বিবাদীদের বিরুদ্ধেও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।
এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিলেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুর্গাপুর থানা।
আদালতের নিষেধ থাকা সত্বেও এ আদেশ কে আমলে নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এক প্রশ্নের জবাবে বৃদ্ধ জামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বিরোধ পূর্ন জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে থেকে দুইবার রায় আমার পক্ষে এসেছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী দুইবার নোটিশ ইস্যু করে আমাকে জমি বুঝিয়ে দেয়
দুর্গাপুর থানা পুলিশ। এর পরেও আমি ওই বুঝে পাওয়া সম্পতিতে চাষ করা রবিশস্য
ফসল ঘরে তুলতে পারছিনা। কেন পারছি না তার উত্তর জানা নেই আমার। এ বৃদ্ধ বয়সে আমার এ ফসল কি ঘরে নিতে পারবো না। শেষ বয়সে কোর্ট কাচারী আর কত ঘুরবো, সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করছেন তিনি।