সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জনগুরুত্বপূর্ণ তাড়াশ-রানীরহাট আঞ্চলিক সড়কের বেড়খাড়ি এলাকায় নির্মাণাধীন ব্রীজের পার্শ্ব রাস্তাটি পানির স্রোতে ভেঙ্গে যাওয়াতে ব্রিজের সঙ্গে সড়কের সংযোগ না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন বিশ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। নিরুপায় হয়েই তালম ইউনিয়নের মানুষ বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছেন।
জানা গেছে, তাড়াশ থেকে রানীরহাট পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার সড়কের বেড়খালিতে একটি পুরোনো ব্রীজ ভেঙে যায়। সম্প্রতি সেখানে সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগ নতুন করে ব্রীজের নির্মাণ কাজ শুরু করে। এতে ওই সড়কে যান চলাচলের জন্য ব্রীজের পূর্ব পাশে পার্শ্ব রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু গত মাসে কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণের ফলে ১১ মে রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। তখন থেকে তাড়াশ উপজেলা সদরের সাথে উত্তর তাড়াশ এলাকার সকল প্রকার যোগাযোগ ও যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কাজ করছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ ৩ মাস হলেও কাজ হচ্ছে না নির্মাণাধীন ব্রিজটির। পার্শ্ব রাস্তাটি ভেঙ্গে যায় গত ১১ মে। সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা যোগাযোগ করে ১ মাসে কোনো সুরাহ হয়নি। পরে স্থানীয় ২/৩ জন বাঁশের সাঁকো দিয়ে সংযোগ তৈরি করায় রাস্তাটি আবার সচল হয়েছে। তবে মোটরসাইকেল, অটোরিক্সা, সিএনজিকে রাস্তা পাড়াপাড় হওয়ার জন্য দিতে হয় সাঁকো ভাড়া।
গুল্টা গ্রামের সোহেল রানা বলেন, ব্রিজটির কাজ হচ্ছে না অনেকদিন হলে, পাশের্^ যে রাস্তা করেছিল তা বৃষ্টির পানিতে ভেঙ্গে পড়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে এলাকার কৃষকরা। গুল্টা হাটে আসতে পারছে না গুড়পিপুল, ভোগলমান, বিনসাড়াসহ তাড়াশের সদরের বিভিন্ন মানুষ। এছাড়াও সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে অনেকেই আহত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম পিকের কাছে ব্রিজ নির্মাণের কাজ বন্ধ এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের তথ্য চাইলে তিনি বলেন, করোনার কারণে পাথর আনতে পারছে না। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মানুষ চলাচল যেন করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে।