নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও)ডাঃ আমিনুল ইসলাম সোহেলের কক্ষে অপেক্ষামান দুই নিকট আÍীয়র ব্যাগ থেকে বিপুল পরিমাণ হাসপাতালে সরবরাহকৃত সরকারী ঔষুধ উদ্ধার করা হয়েছে ।অভিযোগ রয়েছে আমিনুল ইসলাম সোহেস নিজেই তাদের ওষুধগুলো দিয়েছে । অভিযুক্ত চিকিৎসক অভিযোগ অস্বীকার বলেন ,তিনি নাটোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানের সাথে হাসপাতালের ভিতরে ছিলেন ।
এ সময় তাঁর চেম্বারে থাকা ফার্মাসিষ্ট তাকে না জানিয়ে ওষুধগুলো লিখে দিয়েছে । আমার আÍীয়রা সেই ¯ি¬প নিয়ে ঔষুধ তুলেছেন ।তিনি এ বিষয়ে কিছু জানতেন না । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঔষধগুলি জব্দ করেছেন।হাসপাতালের পরিচালক ডা: আসনারুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হবে। তদন্তের জন্য আজ বৃহ¯পতিবারে একটি তদন্ত কমিটি তৈরী করে দেয়া হবে। তদন্তের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তদন্ত কমিটি গঠন করার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি বুধবার বেলা দেড়টার দিকে নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান চিকিৎসার প্রয়োজনে ডা: আমিনুল ইসলামের কক্ষে ঢুকেন। এসময় ভিতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। তিনি দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে দেখেন জাহের উদ্দিন তারব্যাগে বেশ কিছু ঔষধ ঢোকাচ্ছেন ।এসময় শরিফুল ইসলাম রমজান এগুলো কিসের ঔষধ জানতে চাইলে তারা সদুত্তর দিতে পারেননি। তখন বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালক আনসারুল ইসলাম ও নাটোরের সিভিল সার্জন ও উপস্থিত অন্যান্য চিকিৎসকদের জানান। যাচাই করে দেখা যায় ঔষধগুলো নাটোর সদর হাসাপাতালের রোগীদের চিকিৎসার জন্য সরবরাহ করা।তাৎক্ষনিকভাবে ডা: আমিনুল ইসলামের মামাত ভাই গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুরের আহমেদ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম স্বপন ও শফিকুলের ভায়রা নাটোর সদর উপজেলার জলার কান্দির নাজিম উদ্দিনের ছেলে জাহের উদ্দিন কাছ থেকে ঔষধগুলো জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত ঔষধের মধ্যে রয়েছে ইসোরাল ৬০পিস, সলবিয়ন-৪০পিস, ওপি ক্যাপসল ৮০পিস, কট্রিম ১৬০ পিস এমোক্স ৪০ পিস, প্যারাসিটামল ১০০ পিস, সিপ্রোসিন ২০ পিস, সিট্রিজিন ২০ পিস, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ৬০ পিস, এসিলোফিকাল২০ পিস এবং জেন্টামাইসিন ক্রিম ৪টি। এ বিষয়ে নাটোর হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট রেবেকা সুলতানা জানান, এই ঔষধগুলো তিনি দেননি।
আরএমও আমিনুল ইসলাম জানান, শফিকুলের হাত কেটে যাওয়ায় মাত্র ৪টি ক্রিম দিয়েছি। বাকী ঐষধগুলোর বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। জাহের উদ্দিনের কাছে কিভাবে ঔষধগুলো এলো সে বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে নাটোর সদর , হাসপাতালের পরিচালক আনসারুল ইসলাম জানান, ঔষধগুরো জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত দু’তিন প্রকারের ঔষধ বর্তমানে হাসপাতালে স্টকে নেই। আমাদের ধারণা এই ঔষধগুলো চিকিৎসার নামে হাসপাতালের কোন ব্যক্তি জমা করে রেখেছিলেন। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
নাটোরের সিভিল সার্জন ডা: কাজী মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ডা: আনসারুল ইসলামকে বলা হয়েছে। তদন্তের পরেই এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর আÍীয় স্বজনেরা বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে জানান, সাধারণ মানুষ এবং অনেক গরিব মানুষ ওষুধের জন্য চিকিৎসা করাতে পারছেনা আর ইনারা স্বজনপ্রীতি করে আমাদের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে।নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার আমিনুল ইসলামের স্বজনপ্রীতির খবর এখন টক অফ দ্য নাটোর টাউন।