সেভেন আপের বোতলে রাখা কীটনাশক ভুল করে পান করে ঈশ্বরদীতে রাহিমা খাতুন (৬) ও খাদিজা খাতুন (৩) নামে আপন দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বড় বোন রহিমার মৃত্যু হয়। এরআগে বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছোট বোন খাদিজা মারা যায়। রহিমা ও খাদিজা পৌর এলাকার অরণকোলা গ্রামের অটোরিক্সা চালক বাবু মন্ডলের মেয়ে। পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হাসেম দুই বোনের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত দুই বোনের চাচা মানিক জানান, মঙ্গলবার মায়ের সাথে তিন বোন খাদিজা, রাহিমা ও ঋতু খাতুন ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ার আথাইল শিমুল গ্রামে নানা বাড়িতে বেড়াতে যায়। শিশুদের মামা রোকন উদ্দিন েেতর আগাছা পুড়িয়ে মারার জন্য তার ঘরের টেবিলে ওইদিন একটি সেভেন আপের বোতলে কীটনাশক রেখে বাইরে যান। বোতলে সেভেন আপ আছে ভেবে ওই কীটনাশক গøাসে ঢেলে তিন বোনসহ আরো কয়েকজন শিশু পান করে। অপেক্ষাকৃত বড়রা সামান্য পান করে কীটনাশকের উটকো গন্ধের কারণে বমি করে দিলেও ছোট্ট শিশু রহিমা ও খাদিজা কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় নিস্তেজ হয়ে পড়ে। দ্রæত তাদের স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়। সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে ছোট বোন খাদিজা মারা যায়। রহিমার অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে পর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বড়ো বোন রহিমার মৃত্যু হয়।
পাবনা জেলা পরিষদের সদস্য শফিউল আলম বিশ্বাস ও কাউন্সিলর আবুল হাসেম বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিশু দুটিকে হাসপাতালে নিয়ে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করা হলেও তাদের বাঁচানো যায়নি। ছোট্ট আপন দুই বোনের মৃত্যতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শুক্রবার সকালে অরনকোলায় রহিমার লাশ দাফন করা হবে।