নাটোরের গুরুদাসপুরে সাত বছরের শিশু বলাৎকারের ঘটনার পরদিন থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। এক সপ্তাহ পার হলেও থানায় মামলা রজু হয়নি। উপরোন্ত ঘটনাস্থলে তদন্তেও যায়নি পুলিশ। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুস সামাদ ও প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক সাইদ হোসেন সুষ্ঠু বিচার করে দেয়ার কথা বলে শুধু সময়ক্ষেপন করেছেন। উপজেলার খুবজীপুর স্কুলপাড়া গ্রামে ২৭মে সন্ধ্যা ৭টায় এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফুঁসে উঠলে অভিযুক্তরা গা ঢাকা দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাশর্^বর্তী বামনবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর সোহাগ আলীর ছেলে সোহান (৭) তার নানা সাইদুল ইসলামের বাড়িতে থেকে খুবজীপুর সরকারি প্রাইমারী স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ঘটনার দিন প্রতিবেশি কামরুল ইসলামের ছেলে হৃদয় (১৫), আরশেদ আলীর ছেলে জামরুল (১৬) ও জালালের ছেলে মারুফ (১৪) শিশুটিকে বিভিন্ন প্রলোভনে পালাক্রমে বলাৎকার করে। ঘটনার পর শিশুটিকে আহত অবস্থায় স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নেওয়া হয়। এর আগেও ওই শিশুকে হৃদয় ও মারুফ বলাৎকার করেছে বলে তার নানা-নানী জানান। দুঃখজনক ঘটনা হলো অভিযুক্ত তিনজনই সম্পর্কে ওই শিশুটির মামা।
মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে অভিযুক্তদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্ত জামরুলের মা জামিরন ও মারুফের বাবা জালাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরাতো বিচার করতেই চাই কিন্তু ওরা মানছেনা।
শিশুটির বাবা সোহাগ জানান, আট হাজার টাকায় জোরপূর্বক হাতে হাত দিয়ে মিমাংসা করার কথা বলেন সামাদ মেম্বার। পুলিশি সহযোগিতা না পাওয়ায় এবং মিমাংসা না হওয়ায় ভুক্তভোগী শিশুর অভিভাবকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এতে রাজি না হওয়ায় প্রভাবশালী প্রতিপক্ষরা অভিযোগকারীদের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, শিশু বলাৎকারের ঘটনায় থানায় মামলা রজু হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, এ ব্যাপারে দ্রæত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।