ক্যান্সারে আক্রান্ত তালহা নামের একটি শিশু।খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে বিষয়টি নজড়ে আসে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এম,পির কাছে। তালহার বাড়ী হবিগঞ্জ জেলায়। আর সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপির বাড়ী লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফুটফুটে শিশু তালহার ক্যান্সার আক্রান্তের খবর পেয়ে মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এর মেয়ে পারমিতা জামান ও মন্ত্রীর পুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদ ক্যান্সার আক্রান্ত তালহার বাবাকে ফোন করে কথা বলে সহানুভূতি প্রকাশ করেন । সেই সাথে শিশুটির চিকিৎসার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর পক্ষ থেকে এপিএস মিজানুর রহমানের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করার কথা জানানো হয়। এছাড়াও মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ তালহার সুচিকিৎসার জন্য ডাক্তারের সাথে কথা বলে এ পি এস মিজানের মাধ্যমে হাসপাতালে শিশুটির বাবার হাতে সহায়তার অর্থ পৌঁছে দেয়া হয়।
এটি কোন রূপকথার গল্প নয়, একেবারেই বাস্তব একটি গত ২৮ মে’র ঘটনা।
একজন সমাজকল্যাণমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করতে হয় কিন্তু এবার তা ব্যতিক্রম একটি ঘটনা। কোন দরখাস্ত বা আবেদন পাঠাতে হয়নি, বাসায় গিয়ে কাকুতি মিনতি করতে হয়নি! ডেকেও পাঠাননি; সরাসরি চেক পাঠিয়ে দিয়েছেন এপিএস মিজানকে দিয়ে। তাও আবার সোশ্যাল মিডিয়ার সংবাদে!
এরাই হলো মানুষ। যা মানুষের জন্য এগিয়ে আসে। যেমন মন্ত্রী তেমনই মন্ত্রীর মেয়ে, তেমনি মন্ত্রীর ছেলে! বেঁচে থাকো তোমরা এই পৃথিবীর জন্যে, প্রিয় এই বাংলাদেশের জন্যে! যতদিন তোমরা থাকবে বাংলাদেশ হারবে না।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। যার বাড়ি লালমনিরহাট জেলায়। বাবা এমপি ছিলেন বটে কিন্তু তিঁনি উত্তরাধিকার সূত্রে এমপি হিসাবে নাযিল হননি। নিজের যোগ্যতায় একবারে তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন মানবিক মানুষ তিঁনি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান, এমপি, প্রতিমন্ত্রীএবং বর্তমানে মন্ত্রী। ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ করেছেন । তার মন্ত্রী পরিচয় ছাপিয়ে মানুষ পরিচয়টিই মুখ্য। মন্ত্রী হিসেবে তার নির্বাচনী এলাকায় রয়েছেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা।