বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার সংখ্যাগোরীষ্ঠ আমাদের তরুণ প্রজন্ম। তরুণদের ইচ্ছাশক্তি এবং ভাল কাজের সাহসিকতা যেকোন দুর্যোগকেই জয় করতে অনেকটা সহজ করে তোলে। করোনা দুর্যোগে চারিদিকে যখন সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রতিকূলতার এমন সময়ে বগুড়ায় ১১ জন তরুণের সংগঠন ‘একতা বন্ধন’ এগিয়ে এসেছে করোনা মোকাবেলার এক এক জন যোদ্ধা হয়ে। গত ৯ এপ্রিল থেকে শুরু করে ৪১ তম দিনেও প্রতিদিন বিভিন্ন সড়কে ঘুরে ঘুরে ভ্যানে করে অসহায় ও কর্মহীন মানুষের মুখে তুলে
দিচ্ছেন নিজেদের রানা করা খাবার। সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের সেউজগাড়ি, স্টেশন বস্তি এলাকা, জামিলনগর , সূত্রাপুর, খান্দারসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ভাসমান রিক্সা-ভ্যান চালক, দিনমজুর এবং কর্মহীন মানুষদের মাঝে ঐ সংগঠনের তরুণরা অনেক ভালবাসার সাথে বিতরণ
করছেন কোনদিন ডিম-খিচুরি আবার কোনদিন মাংস ভুনা খিচুরি। করোনার মাঝেই পবিত্র
মাহে রমজানে সারামাস তারা আবার খাবারের সাথে বিতরণ করেছেন ইফতারও যা পেয়ে প্রতিদিন
আবেগাপ্লুত হয়ে এই নিস্বার্থ তরুণদের প্রাণখুলে দোয়া ও ভালবাসা দিতেও দেখা গেছে
অনেক অসহায় মানুষকে। একতা বন্ধন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এবং জেলা সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা
মহিদুল হাসান পলাশের সাথে কথা বললে মানবিক এই কার্যক্রম পরিচালনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
দেশের এই ক্রান্তিকালে সকলেরই উচিত মানবতার স্বার্থে মানুষের পাশে এগিয়ে আসা। করোনা
দুর্যোগে তারা শুরু থেকেই মানবতার স্বার্থে তারুণ্যের শক্তিতে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী
কাজ করে যাচ্ছে যা শেষ পর্যন্ত চলমান রাখার ইচ্ছাও পোষণ করেন তিনি। একতা বন্ধনের অন্যান্য
সেচ্ছাসেবীরা হলেন শামীম ওসমান, মাসুম আহম্মেদ, মনিরুজ্জামান তালুকদার, পিন্টু ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, অসীম কুমার, বাবু হোসেন, প্রসেঞ্জিত, আমিনুর ইসলাম এবং সাগর কুমার।