ইয়ানূর রহমান : যশোরে শার্শায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারের বিরুদ্ধে ওজনে চাল কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুরে ভুক্তভোগী অভিযোগকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডলের কাছে তাদের মৌখিক অভিযোগ দেয়।
শার্শা সদর ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধবের আওতায় ২৫৯০ জন সূলভ মূল্য কার্ডধারী গরীব অসহায় দু:স্থ ১০টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল কেনে। এই ইউনিয়নে মোট ৫ জন ডিলারশীপ পায়। তার মধ্যে চটকাপোতা গ্রামের সাহেব আলী ৫১৮ টি কার্ডের বিপরীতে চাল বিক্রি করে। মঙ্গলবার সাহেব আলী ৫৫ টি কার্ডধারীর মধ্যে চাল বিক্রি করে। তবে এসময় ট্যাগ অফিসারের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, স্বরুপদাহ গ্রামের ১৭৭৭ নং সূলভ মূল্য কার্ডধারী নুরজাহান অসুস্থ থাকার সুবাদে তার মা মাজেদা বেগম ৩০০টাকা দিয়ে ৩০ কেজি চাল কেনার পর সন্দেহ হয়। এসময় তিনি বাইরের একটি দোকানে যেয়ে ওই চাল পরিমাপ করে দেখে বস্তাসহ ২৮.১৪৫ কেজি।
শার্শার আতিকুল ইসলাম জনির অবর্তমানে তার বাবা শুকুর আলীও চাল পরিমাপ করে দেখে বস্তাসহ ২৮.১৫৫ কেজি। পরে উভয়ে একত্রে নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তাদের অভিযোগ দেয়।
ডিলার সাহেব আলী বলেন, খাদ্য গুদাম থেকে ৫১৮ টি কার্ডের জন্য ১৫৫৪০ কেজি চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু ৭০০ গ্রাম বস্তার ওজনসহ গড়ে ৪৯.৪৫০ কেজি করে ৩১০ বস্তা চাল দেওয়া হয়। যেখানে প্রায় সাড়ে ৪০০ কেজি চাল কম হওয়ায় আমি হিসাব করে কিছু পরিমাণ চাল কম দিয়েছি। আমাদের হিসাব করে পরে অতিরিক্ত চাল দেওয়ার কথা থাকলেও তা আজও পাইনি। বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদে আমাকে ডেকেছে।
শার্শা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এসময় অভিযোগকারীর বক্তব্য শুনি ও বেশ কয়েকটি চালের বস্তা ওজন করে দেখি। যার প্রতি বস্তায় চাল কম পাওয়া যায়।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে সাথে সাথে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। অভিযোগের সত্যতা মিললে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#
ইয়ানূর রহমান০১৭১২৭৯৭৬০২