ঈশ্বরদী প্রতিনিধিঃ
চলতি বোরো মৌসুমে খাদ্যগুদামে চাল সংগ্রহের জন্য টিচিং বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্ণধার বিশিষ্ঠ শিল্পপতি জালাল উদ্দিন তুহিনের বন্ধ চালকল তালিকাভুক্ত হওযার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঈশ্বরদীর বরাদ্দ তালিকায় ২৯৭ নম্বর ক্রমিকে থ্রি ষ্টার রাইচ মিল-২ এর নাম রযেছে। এই মিলের মালিক তরুণ উদীয়মান শিল্পপতি ও সমাজসেবী জালাল উদ্দিন তুহিন। তিনি বরাদ্দ পেয়েছেন ৫.২৮৮ মেট্রিক টন। সুত্র জানায়, কযেকবছর ধরে চালকলটি বন্ধ থাকালেও অদৃশ্য কারণে বিগত বোরো ও আমন সংগ্রহ মৌসুমগুলোতে তিনি নিয়মিত বরাদ্দ গ্রহন করেছেন। এই মিলের জমি নিয়ে একটি মোকদ্দমাও এরআগে ছিলো। মিলে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও ধান সিদ্ধ করার বয়লার নেই। নীতিমালা অনুযায়ী এই মিল কোনভাবেই বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য নয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রসঙ্গত: ঈশ্বরদী খাদ্যগুদাম ও মুলাডুলি কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহের জন্য এবারে ৪২৫টি চালকলকে ১৫ হাজার ১৬২ টন চাল বরাদ্দ দিয়ে তালিকাভুক্ত করা হয়। প্রকৃত চালকল মালিকদের অভিযোগ, স্থানীয় শক্তিশালী সিন্ডিকেটের যৌথ কারসাজিতে বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এই তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। এব্যাপারে মেসার্স রেদওয়ান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান মহলদার দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অনিয়মের খবর বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকায় প্রকাশিত হলে পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ গত ১২ই মে এক আদেশে ঈশ্বরদীর দুটি গুদামে চাল সংগ্রহ কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দেন। সাথে সাথে অভিযোগ তদন্তের জন্য পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ নেওয়াজকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন। জাহিদ নেওয়াজ ইতোমধ্যেই ৫১টি চালকলে সরেজমিন তদন্ত করেছেন। দু’য়েকদিনের মধ্যেই রিপোর্ট প্রকাশ করার কথা। এখন শুধু দেখার বিষয় শিল্পপতি জালাল উদ্দিন তুহিনের ‘থ্রি ষ্টার রাইচ মিল-২’ এর বিষয়ে রিপোর্টে কি আসে ?