সাঁথিয়া প্রতিনিধিঃ রিনা (৩০) নামের এক গৃহবধূ দীর্ঘ চার মাস ধরে একা এক ঘরে খাঁচায় বন্দী মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ঘটনাটি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আর.আতাইকুলা ইউনিয়নের মাধপুর গ্রামে।
জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার বড়পাইকশা গ্রামের মৃত হারান শেকের কন্যা রিনা খাতুনের একই
উপজেলার মাধপুর গ্রামের হাসান আলী খার ছেলে জালাল উদ্দিনের সাথে গাজীপুর জেলার
কোণাবাড়ী কাজি অফিসে ২১/০২/২০১৯ তারিথে ১লক্ষ ৬০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়ে তিন লক্ষ
টাকা কাবিননামায় বিয়ে হয়। এটা দুজনেরই দ্বিতৃীয় বিয়ে। বিয়ের চার মাস সংসার করার পর
কাকতালীয় ভাবে জালাল গা ঢাকা দেয়। রিনা লোক মুখে জানতে পারে তার স্বামী সৌদি আরব চলে
গেছে। কয়েক মাস গত হলেও স্বামীসহ তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন খোজ খবর নিচ্ছে না।
চিরিয়াখানার পশু পাখির মত ঘর বন্দি হয়ে একা একা দিন পার করছে রিনা। যেন বিচারের বানী
নিভুতে কাঁদে। সাঁথিয়া প্রেসক্লাবের কয়েকজন সাংবাদিক মাধপুর গ্রামে রিনা খাতুনের
বাড়ীতে গেলে কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, আমি একা একা এ বাড়ীতে কিভাবে থাকি।
আমার জীবনের মূল্য কি? সব সময় আতঙ্কের মধ্যে তার দিন কাটে।রিনা বলেন তার শাশুড়ী রোকেয়া ও
ননদই ষড়যন্ত করে তার সংসার ভেঙ্গে দিচ্ছে। রিনা আরো বলেন, জালাল বিদেশ যায়নি। এলাকায়
থেকেই বিভিন্ন লোক পাঠায়। কয়েক দিন আগেও সাঁথিয়ার কয়েকজন লোক এসে আমাকে
অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে জোরপুর্বক বাড়ী থেকে বের করে দিতে চেয়েছিল। আতাইকুলা থানা
পুলিশও এসেছিল। জালালের চাচাতো ভাই হবিবুর রহমান আরো জানান, জালাল রিনাকে কিছু
টাকা দিয়ে বাড়ী থেকে বের করে দিতেও তাকে বলেছেন। অসহায় নির্যাতিত রিনা সুষ্ঠ বিচার
পাবার জন্য প্রধানসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে আর.আতাইকুলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আরশেদ আলী ভান্ডারী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ বাচ্চু খা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সাঁথিয়া থেকে যুবলীগ
নেতা রুবেলসহ কয়েকজন এসেছিল, আমরা তাদেরকে বাধা দিয়ে এখান খেকে বিদায় করে
দিয়েছি। জালাল ফোন করে সবার কাছে বলছে আমি রিনাকে তালাক দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত
তালাকের কাগজ হাতে পায়নি রিনা খাতুন।