নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পাইকপাড়া-কুমুদগঞ্জ এলাকায় সোমেশ^রীর শাখা নদী থেকে সরকারী নির্দেশনা উপক্ষো করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার খবর পাওয়া গেছে। ড্রেজারে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে রয়েছে সহ¯্রাধিক বসতবাড়ি ও স্থাপনা। সরকারি কোন ইজারা না থাকায় রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়, স্থানীয় সংসদ সদস্যের নাম ভাঙ্গিয়ে দেদারসে বালু উত্তোলন করছে ওই নদী থেকে।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ৪-এর খ ধারায় উল্লেখ আছে, সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনার আশপাশ থেকে বালু তোলা যাবে না। এর পরেও কোন অদৃশ্য ইন্দনে, লকডাউন ভেঙ্গে প্রশাসন কে বৃদ্ধঙ্গুলী দেখিয়ে বালু উত্তোলন করছে ওই এলাকার নানা অপকর্মের ডন লালা।
এ নিয়ে শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, বাকলজোড়া ইউনিয়নের শেষ ও কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের শুরুর দিকে অবস্থিত সোমেশ^রী নদীর ঐ অংশকে কোন দিনই সরকারী ভাবে বালুমহালের ইজারা না দেয়ার ফলে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে বালু উত্তোলন। ওই নদীর ওপর কোন সেতু না থাকায় বাংলা ড্রেজার দিয়ে খেয়াল খুশিমতো বালু উত্তোলন করায় পাইকপাড়া ও আব্বাসনগর সহ বেশ কিছু গ্রাম হুমকির মুখে রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক কৃষক বলেন, প্রতিবছর শুকনা মৌসুম থেকেই ওই নদীতে বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি ট্রাক্টর দিয়ে এই বালু পরিবহন করা হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন কাজ হয়নি। সামনে বর্ষা মৌসুম, এভাবে বালু উত্তোলন করলে নদীর দুই পার আরো ভেঙ্গে যাবে, এতে যে কোন মহুর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক অত্র এলাকায় বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বালু করা হচ্ছে এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি বারং বার নিষেধ করেছি, উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগও দিয়েছি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরী ড্রেজার গুলো গুড়িয়ে দেয়ার উদ্দ্যেগ না নিলে সামনের বর্ষায় ওই এলাকার নদীর পাড় ভেঙ্গে বিলীন হয়ে যেতে পারে হাজারো ঘরবাড়ী।
এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি এর আগেও শুনেছি। শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে অবৈধভাবে বসানো বাংলা ড্রেজার গুলো গুড়িয়ে দিয়ে এসেছি। এর পরেও কেউ বাালু উত্তোলনের চেস্টা করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।