সাঁথিয়া প্রতিনিধিঃ
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি ইউনিয়ন আনসার ভিডিপি অফিসের গাছ কেটে ঘর তুলে অবৈধভাবে নিজেদের দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। আনসার ভিডিপি অফিসের ৭০ শতাংশ জমি বেদখল থেকে উদ্ধার চেয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরের আবেদন করেছেন সদস্যরা। সদস্যদের ভয়ভীতির অভিযোগ।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে ও সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার ধুলাউড়ি ইউনিয়নের নুরদহ গ্রামের নুরদহ মৌজায় আনসার ভিডিপির স্থানীয় অফিস প্রায় ৩০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত করে ইউনিয়নের আনসার সদস্যগন। নুরদহ মৌজার আর,এস খতিয়ান ১৬৩, আর,এস ৬১৮ দাগে ৭০ শতাংশ ভ’মি খ তফশিল বর্নিত হওয়ায় আনসার ভিডিপি ক্লাবের সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমানের নামে প্রতিবছর উপজেলা ভ’মি অফিস থেকে লিজ গ্রহণ করা হয়। যাহা বর্তমানে বিদ্যমান রয়েছে। এমতাবস্তায় নুরদহ সরদার পাড়া গ্রামের মোঃ মোক্কাজ সর্দার, ছানাই সর্দার, আঃকুদ্দস সর্দার, বকু সর্দার, রুহুল সর্দারগন প্রভাব খাটিয়ে আনসার ভিডিপি সদস্যদের লাগানো গাছ কেটে সেখানে ঘর উত্তোলন করে। এসময় বাধা দিতে গেলে সদস্যদের বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তারা। উপায়ন্তর না পেয়ে গাছ কাটার বিচার ও জমি অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা চেয়ে সাঁথিয়া উপজেলা ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেন আনসার ভিডিপি। আনসার ভিডিপির ইউনিয়ন কমান্ডার ও ক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান জানান সদস্যদের লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির ৪টি দামী গাছ কেটে সেখানে ঘর তুলছে তারা। ধুলাউড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়াড আওয়ামীলীদের সাধারন সম্পাদক আঃ আলীম বলেন, ঘর তুলতে বাধা দিতে গেলে বিভিন্ন লোক মারফত তাকে হত্যা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশের হায়রানী করার ভয়ভীতি দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। তিনি উৎকণ্ঠায় আছেন বলেও জানান। জমিতে বসবাসকারী মৃত ছকির উদ্দিনের স্ত্রী ষাঠোর্ধ বয়স্ক হালিমা বেওয়া বলেন, বিয়ের পর থেকেই তিনি স্বামীর বাড়ীতে বসবাস করছেন। জমিটি তৎকালীন হিন্দুদের পুজা আর্চনা হোত।
মোক্কাস সর্দার জানান, তার পিতা, চাচার নামে রেকডভূক্ত আর.এস খতিয়ান ২৫১ এ ৪৯৬ দাগের ৭০ শতাংশের মধ্যে ঘর তুলছি ও ভাগ দখল করছি। তাদের দাবীকৃত দাগের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই।
সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী ভ’মি কর্মকর্তা ফায়সাল রায়হান বলেন, আনসার ভিডিপির আবেদন পেয়ে জমিতে ঘর তোলাসহ সকল কাজ বন্ধ রাখতে ও উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। আনসার ভিডিপির নামে লিজ কাটা আছে, অন্য পক্ষকে কাগজপত্র আনতে বলা হয়েছে। কাগজপত্র দেখে বিস্তারিত জানা যাবে।