করোনায় অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহায়তার আহ্বান ইবি ছাত্র মৈত্রী-ছাত্র ইউনিয়নের

ইবি প্রতিনিধি-করােনাভাইরাসের প্রকোপে মানবেতর জীবনযাপনকারী আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহযােগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্র মৈত্রী ও ছাত্র ইউনিয়ন। শনিবার দুপুরে পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। শাখা ছাত্র মৈত্রীর দপ্তর সম্পাদক আশিকুর রহমান ও ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক পিয়াস পান্ডে এ বিবৃতি জানান।
বিবৃতিতে সূত্রে, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নানামুখী সহযােগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রবান্ধব কোন কর্মসূচী গ্রহণ করেনি যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের হতাশ করেছে।সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে চলমান প্রকৃত আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের করােনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আর্থিক সহযােগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বেতনহীন কর্মচারীদদের  সহায়তায় একদিনের বেতন দান করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতি। ৩৮৪ জন শিক্ষকের একদিনের কর্তনকৃত বেতন থেকে জমা হয় ৭ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯৭৩ টাকা। সংগৃহীত অর্থের একটি অংশ গত ১৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ৪৫০ কর্মচারীর পরিবারের মাঝে  লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়। কিন্তু করোনায় অসচ্ছল হয়ে পড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অসহায় শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদান করা হয় নি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ফান্ড থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি ককমিশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মহামারী করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী’র ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ১৫ লক্ষ টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত ডে-লেবার, মাস্টাররোল ও থোক বরাদ্ধের কর্মচারী, ঝাড়ুদার, সুইপার, আয়া ও ভ্যানচালকদের ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণ করে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কোন সিন্ধান্ত গ্রহন বরা হয় নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আকতার হোসাইন বলেন, কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষকদের থেকে কর্তনকৃত টাকা থেকে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অসহায় শিক্ষার্থীদের সাহায্যের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিভাগ থেকে করোনায় অসচ্ছল হয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সহায়তায় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কমিটি থেকে সাহায্যের বিষয়টি ক্যাম্পাস খোলার পরে দেখা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাহায্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে করোনা প্রতিরোধ সেলের আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। 
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন, সকলের পরামর্শে শিক্ষার্থীদের সহায়তার ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।