সুন্দরগঞ্জে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম না থাকায় বিপাকে কৃষক


  বুক ভরা আশা নিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় চলতি মৌসুমে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা তরিতরকারির চাষাবাদ করেছে। ফলনে ভরে গেছে ক্ষেত। কিন্তু বিধিবাম, ঘাতক ব্যাধি করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের বিভিন্ন জেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি যাচ্ছে না। এমনকি ক্ষেতে ফসল রাখা যাচ্ছে না। বাজার দর উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক কম। সে কারণে ক্ষেতের ফসল নিয়ে বিপাকে পরেছে কৃষকরা। কোন কুল কিনারা না পেয়ে অবশেষে পানির দামে বিক্রি করতে হচ্ছে সবজি। শুক্রবার উপজেলার ভ্র্যামমান পাইকারি কাঁচা বাজারের সুন্দরগঞ্জ আব্দুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রতি মণ বেগুন ৩০০ টাকা, করলা ৪৫০ টাকা, আলু ৮০০ টাকা, মরিচ ৩৫০ টাকা, পিয়াজ ২ হাজার টাকা, রসুন ৩ হাজার ৫০০ টাকা ঢেঁড়স, ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেলকা চরের কৃষক রেজাউল ইসলাম জানান, বর্তমানে বেগুন, মরিচ, করলা পানির দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি ২ বিঘা জমিতে বেগুন চাষাবাদ করেছে। তিনি বলেন ২ বিঘা জমিতে বেগুন চাষাবাদে তার খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। বেগুনের যে দাম তাতে করে খরচ উঠবে না। বাজারের ব্যবসায়ি হামিদুল ইসলাম জানান কাঁচা মাল বেশি দিন দোকানে রাখা যাচ্ছে না পঁচে যাচ্ছে। তিনি বলেন এখন অনেকে আগের চেয়ে কম করে কাঁচামাল ক্রয় করছে। তিনি আরও বলেন বেগুন, মরিচ, করলার দাম একটু কম। তাছাড়া অন্যান্য সবজির দাম ঠিক আছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, করোনার কারণে লকডাউন থাকায় উৎপাদিত পণ্য জেলার বাহিরে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না সে কারণে একটু বাজার দর কম পাচ্ছে কৃষকরা।