পাবনার ভাঙ্গুড়ায় চুলার আগুনে তিন দিনমজুরের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাটুলীপাড়া গ্রামে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় প্রতিবেশী আলিমুদ্দিন ও সুবহান আলীর বাড়িও পুড়ে যায়। পরে দমকল বাহিনীর কর্মীরা আধা ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের পরে ভাঙ্গুড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বাকী বিল্লাহ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ তিনজনই দিনমজুর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার সকালে রান্না করার সময় জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তেই আগুন জাহাঙ্গীর আলমের বসত ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় গ্রামের মসজিদে মাইকিং করলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আগুন বৈদ্যুতিক লাইনে ছড়িয়ে পড়লে প্রাণের ভয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা সরে পড়ে। পরে খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা চাটমোহর ও ফরিদপুর থেকে দমকল বাহিনীর কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই জাহাঙ্গীর আলমের দুটি ঘরসহ প্রতিবেশী আলিমুদ্দিন ও সুবহান আলীর দুটি বসতঘর ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এমনিতেই করোনা ভাইরাসের কারণে কাজের অভাবে এই পরিবারগুলো দুর্বিষহ জীবন পার করছে। এর ওপর অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া পরিবার তিনটি একেবারে পথে বসে গেল। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিক অর্থ ও খাদ্যদ্রব্য সহযোগিতা দেন।
পাটুলি পাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল গণি জানান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তিনজনই দরিদ্র দিনমজুর। অনেক কষ্টে তারা অর্থ জমা করে টিনের ঘর দিয়েছিলেন। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডে সব শেষ হয়ে গেল। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিন পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন এবং পরবর্তীতে আরো সহযোগিতা দেবেন বলে আশ্বাস দিয়ে গেছেন।