পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের ধরবিলা গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিকের বাথরুমে ৭বছরের এক শিশুকে ধর্ষণেন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহঃবার দুপুরে বাড়ির পাশে খেলছিলো স্থানীয় ব্যাক স্কুলের প্রথম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ধর্ষনের স্বীকার মেয়েটি। একই এলাকার মোঃ ওমর
কানার ছেলে ভ্যান চালক মোঃ আব্দুর রহমান খেলনা দেয়ার লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে বাড়ির পাশে কমিউনিটি ক্লিনিকের আঙ্গিনায়
ডেকে নিয়ে যায়। এবং সেখানে কেউ না থাকায় ক্লিনিকের বাথরুমে মেয়েটিকে জোড় পূর্বক ধর্ষন করেছে বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় মেয়েটির বাবা বৃহঃবার সন্ধ্যায় বাদী হয়ে পাবনা সদর থানাতে ধর্ষকের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।
এই ঘটনায় পাবনার মানবাধীকার কর্মী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার বলেন, এই ধরনের ঘটনা থামানো যাচ্ছেনা। ধর্ষক আইনের ফাকদিয়ে বের হয়ে আসছে। আইন সঠিক ভাবে প্রয়োগ না হওয়ার কারনে
ধর্ষণ করে পারপেয়ে যাচ্ছে ধর্ষকেরা। তাই আইন কঠোর করতে হবে।
যাতে এই ধরনের কাজ করতে সাহস কেউ না করে। ধর্ষকের কঠিন শাস্তির দাবি করছি আমি।
এই ধর্ষণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাবনা সদর থানার উপ- পরিদর্শক মহেয়মেনুল ইসলাম জানান, ধর্ষনের ঘটনা বৃহঃবার
দুপুরে হয়েছে সন্ধ্যায় পরিবার মামলা দায়ের করেছে। ভোররাতে অভিযান করে ধরবিলা গ্রাম থেকে ধর্ষক আব্দুর রহমান(৪০)কে তার
বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। করোনা পরিস্থিতি ও
বিশেষ ছুটির কারণে শনিবার মেয়েটিকে ডাক্তারি পরিক্ষা করা হবে।
তবে আজ বিশেষ আদালতের মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতক মামলার (২২) ধারায় মেয়েটির জবানবন্ধি নেয়া হবে। মেয়েটির সাথে আমরা
কথা বলেছি সে আমাদের কাছে সেই ঘটনার বর্ণনা করেছে। শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত ধর্ষককে জেলহাজতে
প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।