ক্রেডিট কার্ডে বকেয়া বিলে সুদ আদায় স্থগিত

দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নির্ধারিত তারিখে ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করতে না পারলে তার ওপর কোনো জরিমানা করা যাবে না। পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৫ মার্চ থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত সুদ ধার্য না করতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে আরোপিত সুদ আদায় স্থগিত করতে হবে।

এর আগে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে জরিমানা ও দণ্ড সুদ বাবদ যেসব অর্থ আদায় করেছে সেগুলো ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার জারি করা সার্কুলারের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকদের ওপর গত ১৫ মার্চ থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বকেয়া টাকার ওপর কোনো সুদ আরোপে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ওই সময়ে ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকদের বকেয়া কিস্তির ওপর কোকো সুদ আরোপ করা যাবে না। আলোচ্য সময়ের মধ্যে কোনো সুদ আদায়ও করা যাবে না।

গত ১৫ মার্চের পর থেকে যেসব ব্যাংক গ্রাহকদের কাছ থেকে সুদ, দণ্ড সুদ বা জরিমানা বাবদ যেসব অর্থ আদায় করেছে সেগুলো ফেরত দেয়া বা সমন্বয় করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, করোনাভাইরাসের সংকটময় মুহূর্তে ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকদের কাছ থেকে বাড়তি সুদ আদায় করা মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জারি করা এক সার্কুলারের মাধ্যমে বলেছিল, ১৫ মার্চের পর যেসব গ্রাহক ক্রেডিট কার্ডের কিস্তি পরিশোধ করতে পারেননি তাদের ওপর কোনো সুদ, দণ্ড সুদ বা জরিমানা আরোপ করা যাবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বহাল থাকবে।

এরপরও কিছু ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ অমান্য করে গ্রাহকদের ওপর দৈনিক বা মাসিক ভিত্তিতে বকেয়া অর্থের ওপর সুদ আরোপ করছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন সার্কুলার জারি করেছে।

প্রসঙ্গত, ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনাকাটায় ৪৫ দিন পর্যন্ত বিনা সুদে বিল পরিশোধের সুযোগ থাকে। কিন্তু ৪৫ দিনের পর দিন পার হলে বিলের ওপর কেনাকাটার প্রথম দিন থেকেই উচ্চহারে সুদারোপ করে ব্যাংক। এই সুদহার চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকে। ব্যাংকভেদে সুদহার সর্বনিম্ন ১৪ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হয়।