অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অসচ্ছল জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রস্তুত করে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
শনিবার পরিকল্পনা সচিব, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক বরাবর এই নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান।
নোটিশে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণের প্রেক্ষিতে অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী এই মূহুর্তে আতঙ্ক এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। স্বল্প আয়ের মানুষ, দিনমজুর, রিকশাচালক থেকে শুরু করে নানা পেশার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার লজ্জায় সাহায্য চাইতে পারছে না। এ সমস্ত পরিবারে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য এবং ওষুধের অভাব কিংবা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন পত্র, পত্রিকা, টিভি মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে এ সংক্রান্ত নানা খবর প্রকাশ পেয়েছে। এই অবস্থায় সরকারের দায়িত্ব অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রস্তুত করে তাদের নিকট খাদ্য ও ওষুধ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া।
নোটিশে আরো বলা হয়েছে, ইতোপূর্বে নানা দুর্যোগে সেনাবাহিনী সাফল্যের সঙ্গে সরকারকে সহায়তা করেছে এবং জনসাধারণের আস্থা অর্জন করেছে। ত্রাণকাজে বিভিন্ন অনিয়ম, নির্বাচিত প্রতিনিধি কর্তৃক চাল চুরি ও মজুদ এবং সমন্বয়হীনতার লক্ষ্য করা গেছে। এই পর্যায়ে একমাত্র সেনাবাহিনীর মাধ্যমে এই ত্রাণ বিতরণ এবং সরবরাহের কাজ যথাযথভাবে পরিচালনা সম্ভব।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রস্তুত করে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তাদের নিকট খাদ্য ও ওষুধ সামগ্রী পৌঁছানোর কথা বলা হয়েছে নোটি