দৃষ্টি নন্দন কচুরি ফুল দেখে অভিভূত হয় মানুষ

আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকায় হলেও বহুবর্ষজীবি জলজ উদ্ভিদ কচুরী পানা শত শত বছর যাবত বাংলাদেশের নদ-নদী খাল বিলের পানিতে ভাসতে দেখা যায়। কচুরী পানা অতি দ্রæত গতিতে বংশ বিস্তার করে। গোখাদ্য সংকটের সময় এ পানার কান্ড গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করেন গবাদী পশুর মালিকেরা। তা ছাড়া পঁচানো কচুরি পানা উৎকৃষ্ঠ জৈব সার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। বন্যা প্রবন এলাকার ঢেউয়ের কবল থেকে বসত ভিটে, ঘর-বাড়ি রক্ষায়, মাটি ক্ষয় রোধেও কচুরী পানার বেষ্টনীর ব্যবহার দেখা যায়। স্তুপকৃত কচুরিপানার উপরে ভাসমান বীজতলা নির্মাণসহ সবজী চাষও হয়ে থাকে।

এর কিছু নেতিবাচক দিক থাকলেও যে সময় কচুরিপানা গুলোতে ফুল ফোটে তা সহজেই দৃষ্টি কেড়ে নেয় প্রকৃতি প্রেমীদের। খুব বেশি সুবাস না থাকলেও দৃষ্টি নন্দন এ ফুল দেখে অভিভূত হয় মানুষ। পাবনার চাটমোহরের মৃত প্রায় বড়াল নদের তলদেশে জমে থাকা সামান্য পানিতে ফোটা শত শহস্র কচুরী ফুলের এ ছবিটি তুলেছেন মোঃ ইকবাল কবীর রনজু।