ডামুড্যায় আহমেদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আসলামের খাদ্য সামগ্রী বিতরণে বাঁধায় অভিযোগ !

শরীয়তপুর প্রতিনিধি :
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় আহমেদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক, শিল্পপতি আলহাজ্ব সাঈদ আহমেদ আসলামের ত্রাণ বিতরণে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আহমেদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ডামুড্যা, ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলায় করোনা আতঙ্কে কর্মহীন অসহায় প্রায় ১০ হাজার পরিবারকে ত্রাণ বিতরণের উদ্দ্যেশে চাল-ডাল সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট করা হচ্ছিল, যা শুক্রবার থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল। এরআগে বৃহস্পতিবার রাতেই এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয় বলেও অভিযোগ। তবে জেলা প্রশাসকের দাবি, তাঁর কাছে কোন আবেদন পৌছায় নি। আবেদন পেলে অনুমতি সাপেক্ষে যে কেউ ত্রাণ বিতরণ করতে পারবে।    
আহমেদ ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, করোনা আতঙ্কে কর্মহীন অসহায় শরীয়তপুরের ডামুড্যা, ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলায় প্রায় ১০ হাজার পরিবারকে ত্রাণ বিতরণের উদ্দ্যেশে চাল-ডাল সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট করা হচ্ছিল। এসব খাদ্য সামগ্রী শুক্রবার (৩ এপ্রিল ২০২০) থেকে বাড়ি বাড়ি পৌছে দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু এরআগে বৃহস্পতিবার রাতেই প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে জেলা প্রশাসকের দাবি, তাঁর কাছে কোন আবেদন পৌছায় নি। আবেদন পেলে অনুমতি সাপেক্ষে যে কেউ ত্রাণ বিতরণ করতে পারবে।      
এব্যাপারে আহমেদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব সাঈদ আহমেদ আসলাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ দলমত নির্বিশেষে আমি ও আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সবসময় মানুষের সেবা করে আসছি। যেকোনো দূর্যোগে সাধ্যমতো মানুষের পাশে থাকি। তারই ধারাবাহিকতায় করোনা আতঙ্কে কর্মহীন অসহায় প্রায় ১০ হাজার পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রী প্রস্তুত করেও বিতরণ করতে পারলাম না। এর বেশি কিছু বলতে পারবো না, কারণ আমি বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত। এছাড়াও পর্যায়ক্রমে জেলার বিভিন্ন স্থানে আরও খাদ্য সামগ্রী দেওয়ারও পরিকল্পনা ছিল আমার।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, আমার কাছে কোন আবেদন পৌছায় নি। আবেদন পেলে অনুমতি সাপেক্ষে যে কেউ ত্রাণ বিতরণ করতে পারবে। তবে স্ব-স্ব উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে বিতরণ করতে হবে।
এদিকে, এব্যাপারে সাধারণ মানুষের কথা, “আহমেদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, শিল্পপতি ও দানবীর সাঈদ আহমেদ (আসলাম)” প্রস্তুতি নিয়েও বিভিন্ন বাঁধায় করোনা আতঙ্কে কর্মহীন অসহায় মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দিতে পারেনি। আর অসহায়দের প্রশ্ন; যারা গরীবের পেটে লাথি মারে-গরীবের মুখের খাবার কেড়ে নেয়, তারা কি মানুষ? তাদের কথা এই কঠিন সময়ে যে আপনার দরজায় কড়া নাড়বে, সেই প্রকৃত মানুষ ও সমাজ সেবক। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সমাজ সেবক চেনার সময় এখনি! তাদের আরও প্রশ্ন; সাঈদ আহমেদ আসলাম একজন বিএনপি নেতা (শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক) এটাই কি তার অপরাধ?