পাবনার ভাঙ্গুড়ায় রাজা (১০) নামের এক শিশুকে নিখোঁজের দুই ঘন্টা পর উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের ছোট বিষাকোল গ্রাম থেকে মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে সন্ধ্যায় ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের কলেজ পাড়া থেকে সে নিখোঁজ হয়। রাজা কলেজপাড়ার বাদশা মিয়ার ছেলে।
উদ্ধার হওয়া শিশুর বরাত দিয়ে গ্রামবাসী জানায়, মঙ্গলবার রাত সাতটার দিকে মশার কয়েল কেনার জন্য বাসার পাশের একটি দোকানে যায় রাজা। এমন সময় তিন চারজন যুবক তাকে ফুসলিয়ে দোকানের পাশে অন্ধকারে নিয়ে অজ্ঞান করে অপহরণ করে। এরপর রাত ৯ টার দিকে পৌর শহরের কলেজ মোড় থেকে চার কিলোমিটার দূরে অষ্টমনিষা ইউনিয়নের ছোট বিষাকোল গ্রামে নবির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বাড়ির পাশে বাগানের মধ্যে রাজা জ্ঞান ফিরে নিজেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় সে বাঁধন খুলে কান্নাকাটি শুরু করলে এলাকাবাসী গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় শিশুটি অসুস্থ থাকায় তার নিজের নাম পরিচয় বলতে পারিনি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে নবীর উদ্দিনের বাড়িতে রেখে দেয়। বুধবার সকালে শিশুটি নিজের নাম পরিচয় বলে। তখন পুলিশ ও গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে শিশুটিকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ছোট বিষাকোল গ্রামের ইউপি সদস্য দুলাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একটি শিশু রাতে গ্রামের মধ্যে কান্নাকাটি করলে গ্রামবাসী গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। প্রথমে সে নিজের নাম ঠিকানা বলতে পারিনি। বুধবার সকালে সে নিজের নাম ঠিকানা বলতে পারলে তাকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
তবে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের এএসআই মুকিম হোসেন অপহরণের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ওই শিশুটি পরিবারের সাথে ঝগড়াঝাটি করে পালিয়েছিল। কিন্তু রাতে সে কৌশল করে নিজের নাম পরিচয় বলেনি। পরদিন সকালে নাম-পরিচয় বললে তার পরিবারের তুলে দেওয়া হয়।