কয়েক বছর সম্পর্কের পর নিয়েছিলেন বিয়ের সিদ্ধান্ত। কিন্তু প্রেমিকার ওজন অতিরিক্ত বেশি ছিল, তাই ‘কুিসত’ বলে সম্পর্ক ছেদ করেন প্রেমিক। এ ঘটনায় জেদ চাপে প্রেমিকার মধ্যে। মোটা হয়েছে বলেই যে জীবনের সব শেষ হয়ে গেছে এমনটি হতে দিতে চাননি তিনি। ওজন কমিয়ে গ্রেট ব্রিটেনের সেরা সুন্দরীর মুকুট জয় করেছেন তিনি।
ঘটনাটি ব্রিটেনের। জেন আটকিন নামের ২৬ বছরের ঐ নারীর সঙ্গে তার প্রেমিকের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ২০১১ সালে। তখন জেনের ওজন ছিল ৯২ কেজি। ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক গাঢ় হতে থাকে। ২০১৫ সালে যখন জেন ও তার প্রেমিক বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তখন জেনের ওজন বেড়ে দাঁড়ায় ১০৮ কেজিতে। প্রেমিকার ওজন এতটা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হন প্রেমিক। চেহারাকে এমন ‘কুিসত’ বানিয়ে ফেলেছেন কেন সেই কৈফিয়ত চান। পরে জেনের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
এ ঘটনায় ভেঙে পড়েন জেন। জীবন শেষ হয়ে গিয়েছে ভেবে কয়েক সপ্তাহ কেঁদেই দিন কাটান। কিন্তু তারপর ওজন কমানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম শুরু করেন তিনি। এজন্য তিনি নিয়মিত ব্যায়ামাগারে যেতে থাকেন। খাদ্যাভাসেও আনেন ব্যাপক পরিবর্তন। এর ফলও পান হাতেনাতে। দুই বছরের মধ্যে ওজন কমিয়ে ফেলেন ৫১ কেজি। পাশাপাশি চলতি বছরের মিস গ্রেট ব্রিটেন প্রতিযোগিতায় সেরার মুকুট জেতেন তিনি। সেরা সুন্দরীর মুকুট জিতে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত জেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই বিশ্বাস করতে পারছি না। ভীষণ খুশি হয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘এ মুকুট জেতার পথটা খুব সহজ ছিল না। তারপরও এটি অনেক দারুণ ছিল।’ জেন জানান, ওজন কমাতে তার শরীর হয়তো পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিত্বের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এটিই তাকে সেরার মুকুট জয়ে সাহায্য করেছে। সে কারণে প্রতিযোগিতার আসরে সেরা ব্যক্তিত্বের পুরস্কারও জিতেছেন তিনি।