চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে ইতিমধ্যে বিশ্বের ৬৬ দেশ আক্রান্ত হয়েছে। দেশগুলোকে বারবার সতর্ক করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। করোনা ভাইরাসে বিশ্ব জুড়ে জরুরী অবস্থা বিরাজমান। তবে এ রোগ থেকে মুক্তির জন্য নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার না হলেও সতর্ক থেকে রক্ষা পাওয়া যায় করোনা ভাইরাস থেকে।
বিসিসি খবরে বলা হয়, করোনা ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ঠিক কীভাবে ছড়ায় সেটি এখনও নিশ্চিত করে জানা যায়নি। তবে এই রকমের ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি বেশ কার্যকর। সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি ও কাশির সময় তার নাক ও মুখ দিয়ে যা নির্গত হয় (জলীয় পদার্থের কণা বা ড্রপলেট) তার মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে এই ভাইরাসগুলো। তাই হাঁচি ও কাশির সময় আপনার সতর্কতা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেবে। এ বিষয়ে এনএইচএসের পরামর্শ, নিয়মিত বারবার হাত ধুতে হবে ও পরিষ্কার থাকতে হবে। হাঁচি ও কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু দিয়ে মুখ ঢেকে রাখতে হবে। একই সঙ্গে হাত পরিষ্কার না হলে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা যাবে না। তবে পার্সেল, প্যাকেট, চিঠি অথবা খাদ্যের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে এখনও কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে এবং প্রয়োজনে লোক সমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। তবে এসব ভাইরাস মানব শরীরের বাইরে বেশি সময় টিকে থাকতে পারে না।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। এরপরই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়। গোটা বিশ্বের ৬৬টি দেশে ৯০ হাজারের বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অন্তত ৩ হাজারেরও বেশি লোক।