কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন শরীরে পুশ করায় নাজমা বেগম (৩৮) নামে এক গৃহবধু জীবন মৃত্যুর সদ্ধিক্ষণে। শুক্রবার সকালে উপজেলা সদরের ড্রেনপাড় এলাকার মিম মেডিকেল হলের মালিক পল্লী চিকিৎসক মো. শহীদ মিয়া ওই স্যালাইনসহ ৭টি ইনজেকশন দেন। নাজমা কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের বিশারা গ্রামের মো. সজল মিয়ার স্ত্রী।
হাসপাতাল ও পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নাজমা হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে নাজমার স্বামী মো. সজল মিয়া পল্লী চিকিৎসক মো. শহীদ মিয়ার কাছে ছুটে যান। পরে শহীদ মিয়া সজলের কাছ থেকে অসুস্থতার বিষয়ে বিস্তারিত জেনে তার দোকান থেকে একটি গ্লুকোজ স্যালাইনসহ আরো সাতটি ইনজেকশন দেন। বাড়ীতে নিয়ে আরেক পল্লী চিকিৎসক মো. আলী আজগরকে ডেকে আনলে তিনি নাজমার শরীরে ওই গ্লুকোজ স্যালাইনসহ অন্য আরো সাতটি ইনজেকশন পুশ করেন। পরে তার শরীরের অবস্থা অবনতি দেখা দিলে ওইদিনই দুপুরে পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আশেক উল্লাহ খান বলেন, নাজমার শরীরে যে স্যালাইনটি পুশ করা হয়েছে তার মেয়াদ প্রায় দেড় বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওই স্যালাইন পুশ করার কারণেই নাজমার এ অবস্থা হয়েছে। নাজমাকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। কিন্তু নাজমার শরীরের অবস্থা অবনতি দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
নাজমার স্বামী মো. সাজল মিয়া বলেন, পল্লী চিকিৎসক শহীদ মিয়া তার দোকান থেকে মেয়াদ ছাড়া ওই স্যালাইন কেন দিল। আমি খেটে খাওয়া মানুষ। আজ নাজমার কিছু হয়ে গেলে আমার সন্তানদের কি হবে। তাছাড়া নাজমার চিকিৎসার এত টাকাও বা কোথা থেকে পাব। আমি শহীদ মিয়ার শাস্তি দাবী করি।
এ ব্যাপারে পল্লী চিকিৎসক মো. শহীদ মিয়া মেয়াদ উর্ত্তীণ ওই গ্লুকোজ স্যালাইনসহ ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ওই সময় আমার চোখে ঘুম ঘুম ভাব থাকায় স্যালাইনের মেয়াদটি দেখতে পারি নাই। এটা আমার ভুল হয়েছে। তবে যিনি পুশ করেছেন উনার দেখার দরকার ছিল স্যালাইনটির মেয়াদ আছে কি না।