ইবি প্রতিনিধি: বিনম্র শ্রোদ্ধায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শহীদ দেবাশীষ ভট্টাচার্য রুপমের ২৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১০ টায় র্যালি বের করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রী।
র্যালিটি দলীয় টেন্ট থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে মিলিত হয়। সেখানে শহীদ দেবাশীষ ভট্টাচার্য রুপমের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে তারা। পরে ১ মিনিট নিরবতা পালন করে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি আব্দুর রউফ ও সাধারণ সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ পাপ্পু। এছাড়াও সহ-সভাপতি আখতার হোসেন আজাদ ও শামিমুল ইসলাম সুমন, যুগ্ম সম্পাদক ওজয় কুমার এবং কোষাধ্যক্ষ রিপন রায়সহ সংগঠনটির অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শহীদ দেবাশীষ ভট্টাচার্য রূপম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রমৈত্রীর নেতা ছিলেন। ১৯৯৩ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি মৌলবাদী সন্ত্রাসী ইসলামি ছাত্র শিবির দ্বারা চলন্ত বাসের মধ্যে নির্মমভাবে নিহত হন তিনি। তারপর থেকে শিক্ষারক্ষা-সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ দেবাশীষ ভট্টাচার্য রুপম প্রেরণার উৎস।
উল্লেখ্য, রুপম বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একজন উদীয়মান ছাত্র নেতা ছিলেন। ১৯৯৫ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের সঙ্গে জামাত শিবিরের সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। পরে ১৩ই ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৭টায় রুপম তার তিন বন্ধুকে নিয়ে রাজশাহী থেকে পাবনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় পৌছালে প্রায় ১৫ জন সশস্ত্র শিবির ক্যাডার বাস টিকে থামিয়ে দেয়।পরে ভেতরে ঢুকে অর্ধ শতাধিক যাত্রীর উপস্থিতিতে চাকু ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে রুপমকে আঘাত করে। রুপমের বন্ধুরা বাধা দিতে এগিয়ে আসলে তারাও শিবিরের পৈশাচিকতার শিকার হয়। এভাবে সন্ত্রাসীরা দশ মিনিটে তাদের অপারেশন শেষ করে কোচ থেকে নেমে যায়। তবে ড্রাইভারকে কোচটিকে কোথাও না থামিয়ে নাটোর পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হুকুম দেয় তারা। নাটোরে বাসটি পৌছালে কয়েকজন যাত্রী রুপম ও তার অপর তিন বন্ধুদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে প্রচুর রক্তক্ষরনে কোচেই রুপমের মৃত্যু ঘটে।