শোলাকিয়া ঈদগাহ মাওলানা আনোয়ার শাহ’র জানাজায় লাখো মুসল্লি

খায়রুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ: লাখো মুসল্লির অংশ গ্রহণে কিশোরগঞ্জ ইমাম ও ওলামা পরিষদের সভাপতি বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের (বেফাক) সহ সভাপতি মাওলানা আনোয়ার শাহ’র জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন ঈদগাহ শোলাকিয়া ময়দানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজার উদ্দেশ্যে সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে মুসল্লিরা শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে আসতে থাকেন। বেলা ১২টার মধ্যেই পুরো ঈদগাহ ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। শোলাকিয়া ঈদগাহ ছাড়িয়ে আশপাশের রাস্তা, ব্রিজসহ খালি জায়গায় দাঁড়িয়েও মুসল্লিরা জানাজার নামাজ আদায় করেন। জানাজার আগে মুসল্লিরা জোহরের নামাজ শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানেই আদায় করেন।

জানাজার জন্য শহরের বিভিন্ন মসজিদে জোহরের নামাজ ২০ মিনিট আগে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শুরু হলেও শোলাকিয়া ঈদগাহের দিকে মুসল্লির ঢল আসতে থাকে। মুসল্লির সংখ্যা বেশি হওয়ায় মুসল্লিরা কাতার ভেঙে গায়ে গায়ে মিশে জানাজার নামাজ আদায় করেন। মাওলানা আনোয়ার শাহ’র ছেলে মাওলানা আনজার শাহ তানিম জানাজায় ইমামতি করেন। জানাজায় জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম. এ. আফজল, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মশিউর রহমান হুমায়ূন, জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম, সহ সভাপতি শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে চর শোলাকিয়া বাগে জান্নাত পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তিনি কিশোরগঞ্জ আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদরাসার মহা পরিচালক ও শহীদী মসজিদের খতিব ছিলেন।

উল্লেখ্য, বুধবার বিকাল ৫টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
খায়রুল ইসলাম