নাটোরের বাগাতিপাড়ায় উদ্ধার হওয়া সেই শিশু তানজিলা খাতুনকে পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন। এ ঘটনায় শনিবার রাত থেকে রোববার বিকাল পর্যন্ত শিশুটির মাকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, উপজেলার বজরাপুর গ্রামে তানজিলা খাতুন ওরফে টিয়া পাখি নামের তিন মাস বয়সের ওই শিশুটির লাশ শনিবার পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। তবে এতো ছোট শিশুটি পুকুরের পানি পর্যন্ত পৌঁছা নিয়ে সন্দেহ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার পর পরিবারের লোকজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে রাতে শিশুটির মা তারিন বেগমকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যহত রেখেছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য পুলিশ যাচাই-বাছাই করছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। এদিকে ময়না তদন্তের পর শিশুটির লাশ তার বাবা রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বর এলাকার জামিরা গ্রামের তুষার আলীর কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার বজরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম টেনুর পালিত কন্যা তারিন বেগম সিজারের মাধ্যমে ওই শিশুটির জন্ম দেন। ওই শিশুর জন্মের পর থেকে তারিন বেগম পালিত বাবার বাড়ি বাগাতিপাড়া উপজেলার বজরাপুর গ্রামেই থাকেন। তবে তারিন বেগমের প্রকৃত বাড়ি দিনাজপুর জেলায় এবং তুষার আলীর সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়ে বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিন বলেন, শিশুটির মাকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। এছাড়া রোববার বিকাল পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন মামলা বা লিখিত অভিযোগ হয়নি। তিনি আরও বলেন, পুকুরের পানিতে ফেলে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তবে ময়না তদন্ত প্রতিবেদনের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, শিশু তানজিলার লাশ বাড়ির পাশের পুকুরের পানি থেকে উদ্ধারের পর তিন মাস বয়সের অবুঝ শিশুর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়।