এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত ১ ফেব্রুয়ারির বদলে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা শুরু হবে।
এদিকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তারিখও পেছানো হয়েছে। ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে।
নির্বাচন নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় শনিবার জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিকাল ৪টায় নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি শুরু হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানানো হয়, ৩০ জানুয়ারি ভোটের দিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজার কারণে নির্বাচনের তারিখ পেছানো হয়। ফলে ১ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হদা। বৈঠকে অন্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে নির্বাচন কমিশনারদের ফোন করে বৈঠকে আসার জন্য বলা হয়। এ ছাড়া বৈঠকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের দুই রিটার্নিং কর্মকর্তাকেও আসতে বলা হয়।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণের জন্য ৩০ জানুয়ারি নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ভোটের দিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজার কারণে নির্বাচন পেছানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
৩০ জানুয়ারি নির্বাচন স্থগিত চাওয়ার পাশাপাশি ভোটগ্রহণের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করার জন্য আদালতে রিট করা হয়। গত ১৪ জানুয়ারি ভোটের দিন পরিবর্তনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। পরে রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। সবশেষ এসএসসি পরীক্ষা ও নির্বাচন পেছানো হয়।