দেশে যখন সোনার হরিণের মত
অবস্থা পেঁয়াজের তখন ঝিনাইদহের মাঠ জুড়ে এবার ধুম পড়েছে পেঁয়াজ চাষের । আর
মিশ্র ফসল চাষের বদলে এমন একমুখি চাষের কারণে চাষীরা বিশেষ করে প্রান্তিক ও
বর্গাচাষীরা মৌসুমে উৎপাদিত ফসলের দাম নিয়ে ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। তবে
কৃষি কর্মকর্তারা জানালেন এবার মৌসুমে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানী বন্ধ থাকবে
ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ভাল দাম পাবে এবং লাভবান হবে। এছাড়া
পেঁয়াজের সংকট এড়াতে এবারের আভ্যন্তরীণ উৎপাদন দিয়েই আগামী বছরের চাহিদা
মেটানো হবে দাম ভাল তাই ঝিনাইদহে মাঠের পর মাঠ জুড়ে এখন শুধুই পেঁয়াজের
সবুজ বীজতলা । পরপর
পর গত দু’মৌসুমে দেশের অন্যতম মসলা জাতীয় ফসল পেঁয়াজের তেমন দাম পায়নি
কৃষকেরা । তবে অসময়ে হঠাৎ পেঁয়াজ হয়ে যায় সোনার হরিণ, দেখা দেয় সংকট। দাম
বেড়ে যায় হুহু করে। তাই এবার চাষীরা বিশেষ করে প্রান্তিক ও বর্গাচাষীরা
তাদের জমিতে সাধ্যমতো চেষ্টা করছে পেঁয়াজ রোপনের। জেলার শৈলকুপা পেঁয়াজ
চাষের জন্য বিখ্যাত। সারিবেঁধে এ অঞ্চলের মাঠে মাঠে চলছে পেঁয়াজ লাগানোর
ধুম পড়েছে । আবার যারা বারো মাসই পেঁয়াজ কিনে খায় তারাও এবার পেঁয়াজ
লাগাচ্ছে। আর মৌসুমে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানী বন্ধের দাবি কৃষকদের।
ঝিনাইদহ
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস জানান,জেলায়
এবার পেঁয়াজ চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৯হাজার ২০ হেক্টর জমি। ইতিমধ্যে
চাষ হয়েছে ৭হাজার ৭শ৭৫ হেক্টর জমিতে তিনি আরো বলেন এবার মৌসুমে বিদেশ থেকে
পেঁয়াজ আমদানী করা হবে না ফলে কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ভাল দাম পাবে
এবং লাভবান হবে। আর এবারের আভ্যন্তরীণ উৎপাদন দিয়েই আগামী বছরের চাহিদা
মেটানো হবে। মিশ্র ফসল চাষের বদলে এমন একমুখি চাষের কারণে আবহাওয়া গত কারণে
চাষীরা উৎপাদিত ফসলের দাম নিয়ে কখনো কখনো ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে