অপরাধির কোন ধর্ম বা দল থাকতে পারে না- এমপি শামীম

অপরাধি যে ধর্ম বা দলের হোক না কেন তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। যারা এহেন নেক্কারজনক হত্যাকান্ড সংঘটিত করতে পারে তারা কোন ধর্ম বা দলের হতে পারে না। নিরাপরাধ কোন সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে। গত রোববার দিবাগত রাত ৯টার সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় পাটির নব-নির্বাচিত কেন্দ্রিয় কমিটির অতিরিক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার তাঁতীপাড়ায় জঘন্য ভাবে হত্যাকান্ডের শিকার উত্তম কুমার দেবনাথের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে এসে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন পুলিশ এখন অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধিদেরকে গ্রেফতার করছে। তিনি থানা পুলিশকে অল্প সময়ের মধ্যে প্রকৃত অপরাধিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সকলকে অপরাধিদের গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশকে সহায়তা করার আহবান জানান। এমপি শামীম এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এমপি শামীম বলেন সুন্দরগঞ্জের মানুষ এখন শান্তিতে বসবাস করছে। আমার বিশ্বাস প্রকৃত অপরাধি অবশ্যই শাস্তি পাবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান, ওসি তদন্ত তাজুল ইসলাম, উপজেলা জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নন মন্ডল, পৌর সভাপতি আব্দুর রশিদ সরকার ডাবলু, জেলা পরিষদ সদস্য মাজেদা বেগম, কাউন্সিলর কল্পনা রানী, এমদাদুল হকসহ নেতাকর্মী ও এলাকাবাসি উপস্থিত ছিলেন।
ছয়দিন অতিবাহিত হলেও চাঞ্চল্যকর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ইমারত নির্মাণ শ্রমিক উত্তম কুমার হত্যার আসামি আজও গ্রেফতার হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানীকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় জনমনে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পৌর শহরসহ গোটা উপজেলায় চলছে সমালোচনা ও পর্যালোচনা। ইতিমধ্যে উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন ও এলাকাবাসি গত ২ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বঙ্গবন্ধু মুর‌্যাল চত্বরে দুই ঘন্টা ব্যাপী।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৬টার সময় পৌর সভার ৬নং ওয়াড়ের তাঁতীপাড়া মহল্লার রাজমিস্ত্রী উত্তম কুমারকে (৩০) তার নিজ শয়ন ঘরে অজ্ঞাতনাম ৩ জন যুবক গলাকেটে হত্যা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আহত উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানী পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। উত্তম ওই মহল্লার নিবারণ চন্দ্রের ছেলে। দীর্ঘ এক বছর পূর্বে প্রতিবেশি সুকুল চন্দ্রের কন্যা ললিতা রানীর সাথে উত্তমের বিয়ে হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানী জানান, ৩ জন অপরিচিত যুবক ঘরে প্রবেশ করে তার স্বামীর সাথে রাজমিস্ত্রীর কাজ নিয়ে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে তার হাত, পা এবং মুখ বেধেঁ ফেলে। এরপর তার স্বামীকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। তিনি ওই যুবক ৩ জনকে চেনেন না। তবে তাদেরকে দেখলে চিনেবে। এনিয়ে উত্তমের বড় ভাই গোপাল চন্দ্র দেবনাথ বাদী হয়ে অজ্ঞতানামা ৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে। ওসি আব্দুল্লাহিল জামান জানান, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের ৭টি ইউনিট মাঠে কাজ করছে, অল্প সময়ের মধ্যে আসামিদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে