ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের নেতা আবির হোসেন শৈশবকে মারধর করার ঘটনার জের ধরে ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাকারিয়া পিন্টুর রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও বিএনপি নেতা মারধর করার অভিযোগ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে শহরের রেলওয়ে গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রদল ও যুবদল নেতাদের অভিযোগ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে ছাত্রলীগের নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন ভাংচুরের সাথে ছাত্রলীগ জড়িত নয়। বিএনপি নেতার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে শহরের ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী, ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের একাধিক নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার সকালে ঈশ্বরদী সরকারী এস এম মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কর্মী সৌরভ ও তুর্য্য’র সাথে কলেজের পরিবেশ নিয়ে কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে কিছুক্ষণ পরে ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক ও পৌর ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা আবির হোসেন শৈশব সেখানে এলে স্থানীয় যুবক আরিফ তাদের কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে বলে। এ সময় কয়েকজন শৈশবকে পিটিয়ে আহত করে। এই ঘটনার জের ধরে দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেন যাত্রার মামলায় ফাঁসির দন্ডপাপ্ত জাকারিয়া পিন্টুর রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসময় ওই কার্যালয়ে অবস্থানকারী ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সামসুজ্জোহা পিপ্পু, যুবদল নেতা সাঈদ ও ছাত্রদল কর্মী কৃষ্ণকে মারপিট ও ২টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জুয়েল বলেন, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যালীতে অংশগ্রহণ করা নিয়ে এসএম মডেল কলেজ ক্যাম্পাসের বিরোধকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা শৈশবকে কে বা কারা মারধর করে। পরে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা বিএনপি নেতা পিন্টুর রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা, মোটর সাইকেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিব হাসান রনি বলেন, পিন্ট’ুর অফিস ভাংচুরের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোন নেতা জড়িত নয়, তারা নিজেরাই এ ঘটনা ঘটিয়ে ছাত্রলীগের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বলেন, ঘটনার পরপরই শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।