ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলে স্লোগানে স্লোগানে তাকে স্বাগত জানায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পায়রা উড়িয়ে, পাতাকা উত্তোলন করে এবং জাতীয় সংগীত গেয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সম্মতি জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী ঘিরে সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল সহকারে তারা যোগ দেন অনুষ্ঠানে। দুপুরের আগেই ভরে যায় অনুষ্ঠানস্থল। নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাজির হয়েছেন পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় জন্ম হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন এই ছাত্র সংগঠনটির ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণাঢ্যভাবে পালন করতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমদিন শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সকল সাংগঠনিক কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকাল সাতটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং আটটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কাটা হয়। ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সোমবার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাশে বটতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হবে। দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে রোববার (৫ জানুয়ারি) পালিত হবে রক্তদান কর্মসূচি, এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতার সামনে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষ হবে।