আজ ৩০ ডিসেম্বর, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তি। গত বছর এই দিনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ জয় পায়। নির্বাচনে বাংলাদেশের বড় দু’টি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ নিবন্ধিত ৩৯টি দল অংশগ্রহণ করে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর)‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ পালন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে দলটির দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের সব জেলা/মহানগর, উপজেলা/থানাসহ সংগঠনের সকল শাখার উদ্যোগে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে বিজয় মিছিল, র্যালি, সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।
বিকেল ৩টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিজয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে ৩০ ডিসেম্বর ‘ভোটাধিকার হরণ দিবস’ পালন করবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এ উপলক্ষে অলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। জোটের শরিক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়রম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা এ তথ্য জানিয়েছেন।
সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে ভোট ডাকাতি হয়েছে গত বছর, এ কারণে ২০ দলীয় জোট ওইদিনটাকে ভোটাধিকার হরণ দিবস হিসেবে পালন করবে। এ উপলক্ষে বিকেল ৩টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জোটের পক্ষ থেক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়া গতকাল রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘২০১৮ সালের ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ’ কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ঐক্যফ্রন্ট সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করে। কদম ফোয়ারা মোড়ে পুলিশ মিছিলটি আটকে দেয়।
সমাবেশে ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ভোট ডাকাতদের ধরতে হবে। ভোট ডাকাতি করা রাষ্ট্রদ্রোহ।
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি আবু সাইয়িদ বলেন, ভোট ডাকাতি নয়, জনগণের অধিকার ডাকাতি করা হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ২৯ ডিসেম্বর রাতে হয়েছে। তাই তারা এদিনই বর্ষপূর্তিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করার জন্য আওয়ামী লীগের যেমন কৃতিত্ব দাবির অধিকার আছে, তেমনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্ক রচনা করার ইতিহাসও তাদের।